সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনও শিউরে ওঠেন বছর তেতাল্লিশের সুতপা মজুমদার। মনে হয় যেন দুঃস্বপ্ন। ‘‘এই ভাবে আবার হেঁটে বেড়াব, ভাবতেও পারিনি তখন।’’ শনিবার বিশ্ব ক্যানসার সচেতনতা দিবস উপলক্ষে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আয়োজিত পদযাত্রায় হাঁটতে হাঁটতে এমনটাই বলছিলেন তিনি।
বলছিলেন, পঁচিশ বছর আগে হঠাৎ এক দিন বুকে চিনচিন ব্যাথা অনুভব করেন সুতপাদেবী। চিকিৎসক জানান, তিনি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। তখন তাঁর ছেলের বয়স মাত্র আড়াই বছর। ‘ছেলেটাকে আর বড় হতে দেখতে পারব না,’ সব সময়ে এমনটাই ভয় হত। তখন তাঁকে সাহস দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পরিজনেরা।
শুধু সুতপাদেবীই নন, চুয়ান্ন বছরের রিঙ্কু চৌধুরী, বাষট্টির ছায়া মিত্র এবং আরও অনেকেই লড়াই চালিয়েছেন ক্যানসারের মতো মারণ রোগের সঙ্গে। তাঁরা সকলেই
বিজয়ী। কারণ তাঁরা জয় করতে পেরেছেন ক্যানসারকে। এখন তাঁরাই অসংখ্য ক্যানসার আক্রান্ত মহিলার পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের মনোবল জোগাচ্ছেন। বলছেন, ‘হাল ছেড়ো না। তোমরাও পারো।’