Advertisement
E-Paper

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন দু’ নম্বর কলোনির বাসিন্দারা। কাঁকসার বিডিও-র কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসা ২ নম্বর কলোনির বাসিন্দা অর্চনা ঢালির বছর আড়াইয়ের মেয়ে পায়েল ঢালি দিন কয়েক ধরেই জ্বর ও বমিতে ভুগছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৫ ০২:৫৫
এই শিশুটিকেই ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নিজস্ব চিত্র।

এই শিশুটিকেই ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নিজস্ব চিত্র।

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন দু’ নম্বর কলোনির বাসিন্দারা। কাঁকসার বিডিও-র কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসা ২ নম্বর কলোনির বাসিন্দা অর্চনা ঢালির বছর আড়াইয়ের মেয়ে পায়েল ঢালি দিন কয়েক ধরেই জ্বর ও বমিতে ভুগছিলেন। বুধবার অর্চনাদেবী মেয়েকে নিয়ে কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান। অর্চনাদেবী জানান, সেখানে এক ডাক্তার মেয়েকে দু’টি ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য নার্সের কাছে যেতে বলেন। একজন নার্স জাক্তারের প্রেসক্রিপশন নিয়ে চলে যান। ওই সময়ই অপর এক নার্স পায়েলকে পরপর দু’টি ইঞ্জেকশন দেন বলে অর্চনাদেবীর দাবি। কিছুক্ষণ পর নার্সদের কথপোকথন থেকে অর্চনাদেবী বুঝতে পারেন, মেয়েকে কুকুরে কামড়ানোর ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। ওই কথা শুনে অর্চনাদেবী প্রতিবাদ করলে, তাঁকে বোঝানো হয় ওই ইঞ্জেকশনে শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না। তখনকার মতো অর্চনাদেবী বাড়ি ফিরে আসেন।

কিন্তু শুক্রবার থেকে পায়েলের ফের জ্বর ও বমি শুরু হয়। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে অর্চনাদেবী স্বাস্থকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বাসিন্দাদের দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এর আগেও চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। কয়েক মাস আগেই এখানে প্রয়োজনীয় ওষুধ ফেলে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয় বাসিন্দা কিশোর মণ্ডলের অভিযোগ, “বারবার এমন ঘটনা ঘটলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

শেষ পর্যন্ত পায়েলকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বাতী রায়চৌধুরী বলেন, “ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ দেখে ওই মহিলার ভুল ধারণা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শমতো ঠিক ইঞ্জেকশনই দেওয়া হয় ওই বাচ্চাটিকে।’’ কাঁকসা ব্লক দফতর সূত্রে জানানো হয়, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Negligence in treatment Kaksha agitation medicine doctor treatment
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy