Advertisement
০৩ মে ২০২৪

রেডিওলজিস্ট নিয়োগ হয়নি, হয়রান রোগীরা

রেডিওলজিস্ট বদলি হয়ে গিয়েছেন মাস দুয়েক আগে। তার জায়গায় এখনও কাউকে পাঠানো হয়নি। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে তাই এক্স-রে থেকে স্ক্যান, নানা পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না। বাইরে থেকে এই সব পরীক্ষা করাতে হচ্ছে রোগী ও তাঁর আত্মীয়-পরিজনদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, শীঘ্রই রেডিওলজিস্ট কাজে যোগ দেবেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৫ ০২:১৬
Share: Save:

রেডিওলজিস্ট বদলি হয়ে গিয়েছেন মাস দুয়েক আগে। তার জায়গায় এখনও কাউকে পাঠানো হয়নি। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে তাই এক্স-রে থেকে স্ক্যান, নানা পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না। বাইরে থেকে এই সব পরীক্ষা করাতে হচ্ছে রোগী ও তাঁর আত্মীয়-পরিজনদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, শীঘ্রই রেডিওলজিস্ট কাজে যোগ দেবেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে যে রেডিওলজিস্ট ছিলেন, স্বাস্থ্য দফতর তাঁকে অন্যত্র বদলি করেছে। সেই থেকে এই পদ খালি পড়ে রয়েছে। ফলে, এক্স-রে, স্ক্যান থেকে আলট্রা সোনোগ্রাফি— রোগীরা হাসপাতাল থেকে এই ধরনের নানা পরীক্ষা করানোর সুযোগ পাচ্ছেন না। কারণ, রেডিওলজিস্ট না থাকায় সে সবের রিপোর্ট তৈরি করা সম্ভব নয়। হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্র থাকা সত্ত্বেও তার সুবিধা না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা। তাঁদের দাবি, হাসপাতালের তরফেই বাইরে থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে বলে দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইরে থেকে পরীক্ষা করার পরে বিল জমা দিলে সেই টাকা হাসপাতালের তরফে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁদের হেনস্থা হতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন অনেক রোগীর পরিজনই। হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইরে পরীক্ষা করিয়ে আনলেও বিল জমা দিয়ে টাকা পাওয়ার পদ্ধতি ঠিক মতো না জানায় সকলে তা পাচ্ছেন না। হাসপাতাল থেকে যেখানে পরীক্ষা করাতে বলা হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে রোগীরা সেখানে যাচ্ছেন না। বাইরে থেকে পরীক্ষা করিয়ে বিল মেটানোর মতো প্রস্তুতি নিয়ে না আসার জন্যও বিপাকে পড়ছেন অনেকে। সব মিলিয়ে, হয়রান হচ্ছেন রোগীরা। সম্প্রতি হাসপাতালে আসা রোগী দেবাশিস মণ্ডল যেমন বলেন, ‘‘আমার এক্স-রে করা প্রয়োজন। কিন্তু এখানে এসে জানলাম, তা বাইরে থেকে করিয়ে আনতে হবে। মুশকিলে পড়ে গিয়েছি।’’

হাসপাতালের মধ্যে পরীক্ষা করানোর যন্ত্র থাকলেও শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট কর্মীর অভাবে দিনের পর দিন সেগুলি কাজে লাগানো না যাওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অনেকেই। হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার মিহির নন্দীর যেমন প্রশ্ন, ‘‘কর্মরত এক রেডিওলজিস্টকে বদলি করার আগে কেন এখানে নতুন কাউকে নিয়োগ করা হল না?’’ হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাস অবশ্য আশ্বাস দেন, স্বাস্থ্য ভবনের তরফে এক জন রেডিওলজিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি শীঘ্রই কাজে যোগ দেবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE