সামাজিক চাপ থেকে জন্ম নেওয়া শৈশবের এই ছোট ছোট বায়না বয়ঃসন্ধিতে গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ছবি: সংগৃহীত
বাড়ির খুদেটির বায়নায় কি অস্থির হয়ে যাচ্ছেন? অন্য দিকে শিশুটিও সামাজিক চাপের শিকার। তার অজান্তেই সে ঢুকে পড়ছে এক প্রতিযোগিতার দৌড়ে। সন্তানকে এই গোলকধাঁধা থেকে বার করে আনার দায়িত্ব কিন্তু মা-বাবারই। সামাজিক চাপ থেকে জন্ম নেওয়া শৈশবের এই ছোট ছোট বায়না বয়ঃসন্ধিতে গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বয়সের সঙ্গেই চাহিদা বাড়তে থাকে ও ধরন পালটায়। তবে কোথায় রাশ টানবেন তা জানা খুব জরুরি। জীবনে তাকে সঠিক পথে চালানোর দায়িত্ব কিন্তু আপনারই।
ছোট থেকেই শিশুদের কোন শিক্ষাগুলি দেওয়া প্রয়োজন?
১) স্কুলজীবন শুরুর পরেই বহির্জগতের সংস্পর্শে আসে শিশুরা। তখনই বন্ধুদের প্রভাব পড়তে শুরু করে তাদের জীবনে। সেই প্রভাব ইতিবাচক ও নেতিবাচক দু’রকমই হতে পারে। মা-বাবাকে শেখাতে হবে, তার সন্তান কোনটা গ্রহণ করবে আর কোনটা নয়।
২) বাবা-মা দু’জনেই কর্মরত হলে অনেক সময়েই উপহার দিয়ে তারা বাচ্চাদের ভুলিয়ে রাখেন। বয়সের বাড়ার সঙ্গে চাহিদাও বাড়তে থাকে। অন্যের দেখে জিনিস চাওয়ার প্রবণতাও তৈরি হয়। তবে সে কত দূর পর্যন্ত চাইতে পারে, সেটা তাকে বোঝানো দরকার। তাই শিশুদের সেই ধারণা স্পষ্ট করা আপনার দায়িত্ব।
৩) রোজের রুটিনে তার জন্য কিছু কাজ বরাদ্দ করুন। শিশু মানে সে বাড়ির কোনও কাজই করবে না, এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। নিজের জামা গোছানো, গাছে জল দেওয়া, বোতলে জল ভরা— বাড়িতে এমন ছোট ছোট অজস্র কাজ থাকে। তা বাচ্চারা করতেই পারে। এমন কাজে তাদের ব্যস্ত রাখুন। তাতে তাদের সময় কাটবে এবং নিয়ম মেনে চলতেও শিখবে। সঙ্গে মোবাইল বা টিভি দেখার সময় কমবে।
৪) অনেক শিশু ছোট থেকেই কেবল নিজেরটা বুঝতে শেখে। এই প্রবণতা মোটেই ভাল নয়। সকলকে নিয়ে চলার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। আর তাদের মনে এই বোধ জাগ্রত করার দায়িত্ব কিন্তু আপনাকেই নিতে হবে।
ছোট বয়সে সন্তানকে ইচ্ছা মতো চালনা করা সহজ। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজস্ব মতামত এত প্রবল আকার ধারণ করে যে, মা-বাবার আওতার বাইরে চলে যায়। উত্তেজিত না হয়ে মা-বাবাকে ভেবেচিন্তে ছেলেবেলা থেকেই শিশুর এই অভ্যাসগুলিতে বদল আনা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy