ধূমপান ছাড়বেন ভাবছেন অনেক দিন থেকেই? কিন্তু এখনও ছেড়ে উঠতে পারেরনি তাই তো? তবে খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন আগের থেকে। আর সেটা ভেবেই নিজের মনকে সান্ত্বনা দিয়ে চলেছেন। তা হলে জেনে রাখুন আপনি নিজেকেই বোকা বানাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাঁরা দিনে এক প্যাকেটেরও কম সিগারেট খান তাঁদেরও জীবনের ঝুঁকি একই ভাবেই বেড়ে চলেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ-এর গবেষকরা জানাচ্ছেন, ধূমপানের কোনও সেফ লেভেল হয় না।
গবেষণার জন্য এনআইএইচ-এএআরপি ডায়েট অ্যান্ড হেলথ স্টাডি-র ৭০ বছর ও তার বেশি বয়সী ১ লাখ ৬০ হাজার অংশগ্রহণকারীকে বেছে নিয়েছিলেন গবেষকরা। ২০০৪-২০০৫ সালে নিজেদের ধূমপানের অভ্যাস বিষয়ক কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন অংশগ্রহণকারীরা। ২০১১ সালের শেষ পর্যন্ত তাঁদের মৃ্ত্যুর খতিয়ান রাখেন। ২০১৪-২০১৬ সালের মধ্যে পেশ করা রিপোর্টে দেখা যায় যাঁরা ৭০ বছরে এসে ধূমপান করা কমিয়েও দিয়েছেন তাঁরাও যাঁরা কোনও দিন ধূমপান করেননি তাঁদের তুলনায় কম দিন বেঁচেছেন।
২০০৪-২০০৫ সালে গবেষণা শুরুর সময় অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ৭৫ বছর। তাঁদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ আগে ধূমপান করলেও গবেষণার সময় ছেড়ে দিয়েছিলেন বা সারা জীবন নন-স্মোকার ছিলেন। ৬ শতাংশ গবেষণার সময়ও ধূমপান করতেন। নন-স্মোকারদের মধ্যে পুরুষ:মহিলা অনুপাত ছিল ৩১:৪৮। ধমপায়ীদের মধ্যে সিগারেট খাওয়ার সংখ্যার বিচারে পুরুষ:মহিলা অনুপাত ছিল বছরে ১৮.২ প্যাকেট: ১১.৬ প্যাকেট। ১৫ বছরের কম বয়সে ধূমপানের নেশায় পড়া অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরুষ মহিলা অনুপাত ছিল ১৯:৯.৫।
গবেষণা শুরু হওয়ার ৬.৪ বছরের মধ্যেই ১৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর মৃত্যু হয়। এঁদের মধ্যে নন-স্মোকার ছিলেন ১২.১ শতাংশ। ১৬.২ শতাংশ ধূমপান ছেড়েছিলেন ৩০-৩৯ বছরের মধ্যে, ১৯.৭ শতাংশ ধূমপান ছেড়েছিলেন ৪০-৪৯ বছরের মধ্যে, ২৩.৯ শতাংশ ধূমপান ছেড়েছিলেন ৫০-৫৯ বছরের মধ্যে ও ২৭.৯ শতাংশ ধূমপান ছেড়েছিলেন ৬০-৬৯ বছরের মধ্যে। ৩৩.১ শতাংশ গবেষণার সময়ও ধূমপান করতেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ধূমপানের কারণে মহিলাদের আয়ু কমে যাওয়ার ঝুঁকি পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি।
আমেরিকান জার্নাল অব প্রিভেনটিভ মেডিসিনে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: এই রংগুলোই বলে দেবে কী চলছে আপনার মনে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy