Advertisement
০৩ মে ২০২৪
pregnancy

মা হতে চলেছেন? এ নিয়মগুলো মানছেন তো?

গর্ভাবস্থায় এ সব এড়িয়ে চললে সুস্থ সন্তানের জন্ম দেওয়া হয়ে ওঠে অনেক সহজ। দেখে নিন কী কী।

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৮ ১৩:০৫
Share: Save:
০১ ০৭
সন্তান যে কোনও পরিবারের কাছেই বড় আদরের। তাই তার জন্মের খবর এলেই পরিবার ব্যস্ত হয়ে পড়ে অনাগত অতিথিকে আপ্যায়ণ করতে। হবু মা-বাবা নিজেও নানা আয়োজন সেরে ফেলেন তাদের জীবনের নতুন সদস্যের জন্য। কিন্তু এই প্রস্তুতির মধ্যেও হবু মায়ের তরফে থেকে যায় বেশ কিছু জরুরি বিষয়, যা না মানলে আদতে মায়ের ক্ষতি। তার প্রভাব পড়ে শিশুর উপরও।

সন্তান যে কোনও পরিবারের কাছেই বড় আদরের। তাই তার জন্মের খবর এলেই পরিবার ব্যস্ত হয়ে পড়ে অনাগত অতিথিকে আপ্যায়ণ করতে। হবু মা-বাবা নিজেও নানা আয়োজন সেরে ফেলেন তাদের জীবনের নতুন সদস্যের জন্য। কিন্তু এই প্রস্তুতির মধ্যেও হবু মায়ের তরফে থেকে যায় বেশ কিছু জরুরি বিষয়, যা না মানলে আদতে মায়ের ক্ষতি। তার প্রভাব পড়ে শিশুর উপরও।

০২ ০৭
বাড়ি রঙে না: অনাগত শিশুর জন্য তার ঘর তৈরি করে রাখছেন, রাখুন। তাতে ক্ষতি নেই। বরং মনের মতো করে সন্তানের ঘর সাজালে হবু মায়ের মন প্রফুল্ল থাকে। কেনাকাটাও করতে পারেন। কিন্তু রং কোনও ভাবে নয়। রঙের মধ্যে থাকা নানা জৈব রাসায়নিক ও তার গন্ধ গর্ভবতীর শরীরের জন্য ভাল নয়। একান্তই রং করাতে হলে হবু মাকে সে ঘর থেকে রাখুন অনেকটাই দূরে।

বাড়ি রঙে না: অনাগত শিশুর জন্য তার ঘর তৈরি করে রাখছেন, রাখুন। তাতে ক্ষতি নেই। বরং মনের মতো করে সন্তানের ঘর সাজালে হবু মায়ের মন প্রফুল্ল থাকে। কেনাকাটাও করতে পারেন। কিন্তু রং কোনও ভাবে নয়। রঙের মধ্যে থাকা নানা জৈব রাসায়নিক ও তার গন্ধ গর্ভবতীর শরীরের জন্য ভাল নয়। একান্তই রং করাতে হলে হবু মাকে সে ঘর থেকে রাখুন অনেকটাই দূরে।

০৩ ০৭
গরম জলে স্নান নয়: এমনিতে শুনলে মনে হবে গরম জল আর কী ক্ষতি করবে, বরং গরম জলে স্নান তো শরীরকে তাজা করে! কিন্তু আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, গর্ভবতী মায়ের শরীরের অভ্যন্তরীন উষ্ণতা ১০১-১০২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। খুব বেশি তাপে রক্তচাপ কমে যেতে পারে. ফলে, শিশু বঞ্চিত হতে পারে তার দরকারি পুষ্টি ও অক্সিজেন থেকে।

গরম জলে স্নান নয়: এমনিতে শুনলে মনে হবে গরম জল আর কী ক্ষতি করবে, বরং গরম জলে স্নান তো শরীরকে তাজা করে! কিন্তু আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, গর্ভবতী মায়ের শরীরের অভ্যন্তরীন উষ্ণতা ১০১-১০২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। খুব বেশি তাপে রক্তচাপ কমে যেতে পারে. ফলে, শিশু বঞ্চিত হতে পারে তার দরকারি পুষ্টি ও অক্সিজেন থেকে।

০৪ ০৭
ফলের রসে না বলুন: শুনতে অবাক লাগলেও এ কথা সত্যি। গ্যাস্টেশনাল ডায়াবিটিসকে দূরে রাখতে ফলের রসের বদলে নিত্য খাদ্যতালিকায় রাখুন টাটকা ফল। ফলের রসে ফাইবার কম অথচ শর্করা বেশি। চিনির আধিক্যও বেশি। তাই এটা এড়িয়ে চলুন।

ফলের রসে না বলুন: শুনতে অবাক লাগলেও এ কথা সত্যি। গ্যাস্টেশনাল ডায়াবিটিসকে দূরে রাখতে ফলের রসের বদলে নিত্য খাদ্যতালিকায় রাখুন টাটকা ফল। ফলের রসে ফাইবার কম অথচ শর্করা বেশি। চিনির আধিক্যও বেশি। তাই এটা এড়িয়ে চলুন।

০৫ ০৭
চিত হয়ে শোওয়া নয়: যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন এটাও। বোশির ভাগ চিকিৎসকই এই সময় হবু মাকে বাঁ দিকে কাত হয়ে শোওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে ভ্রূণের শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ে। চিত হয়ে শুলে অনেক সময় শ্বাসকষ্ট, বদহজম বা নিম্ন রক্তচাপের কারণে গর্ভবতীর শরীরে আসতে পারে নানা জটিলতা। যার প্রভাবে ক্ষতি হতে পারে হবু মা-সহ সন্তানেরও। ছবি: শাটারস্টক।

চিত হয়ে শোওয়া নয়: যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন এটাও। বোশির ভাগ চিকিৎসকই এই সময় হবু মাকে বাঁ দিকে কাত হয়ে শোওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে ভ্রূণের শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ে। চিত হয়ে শুলে অনেক সময় শ্বাসকষ্ট, বদহজম বা নিম্ন রক্তচাপের কারণে গর্ভবতীর শরীরে আসতে পারে নানা জটিলতা। যার প্রভাবে ক্ষতি হতে পারে হবু মা-সহ সন্তানেরও। ছবি: শাটারস্টক।

০৬ ০৭
প্রসাধনীতে সাবধান: রাসায়নিক এড়াতেই এই সাবধানতা। কিছু প্রসাধনের মধ্যে থাকা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, বেঞ্জিল পারঅক্সাইড এই সময় অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই সাবান-শ্যাম্পু থেকে শুরু করে প্রসাধনীর জিনিস— কেনার আগে খুঁটিয়ে দেখুন এ সবের উপাদান। প্রয়োজনে পরামর্শ নিন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের

প্রসাধনীতে সাবধান: রাসায়নিক এড়াতেই এই সাবধানতা। কিছু প্রসাধনের মধ্যে থাকা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, বেঞ্জিল পারঅক্সাইড এই সময় অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই সাবান-শ্যাম্পু থেকে শুরু করে প্রসাধনীর জিনিস— কেনার আগে খুঁটিয়ে দেখুন এ সবের উপাদান। প্রয়োজনে পরামর্শ নিন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের

০৭ ০৭
জাঙ্ক ফুড নেভার: চিকিৎসকরা নিষেধা়জ্ঞার শুরুতেই রাখেন একে। হজম, রক্তচাপ, ওবেসিটি সব নিয়ন্ত্রণ করতেই এই দাওয়াই। মশলাদার খাবার বা জাঙ্ক ফুড এমনিতেই শরীরের ক্ষতি করে। গর্ভাবস্থায় হতে হবে আরও সচেতন। খুব প্রিয় খাবার একান্তই খেতে ইচ্ছে করলে কথা বলুন চিকিৎসকের সঙ্গে, উনিই জানিয়ে দেবেন আদৌ তা খাওয়া যাবে কি না বা খেলেও ঠিক কতটুকু।

জাঙ্ক ফুড নেভার: চিকিৎসকরা নিষেধা়জ্ঞার শুরুতেই রাখেন একে। হজম, রক্তচাপ, ওবেসিটি সব নিয়ন্ত্রণ করতেই এই দাওয়াই। মশলাদার খাবার বা জাঙ্ক ফুড এমনিতেই শরীরের ক্ষতি করে। গর্ভাবস্থায় হতে হবে আরও সচেতন। খুব প্রিয় খাবার একান্তই খেতে ইচ্ছে করলে কথা বলুন চিকিৎসকের সঙ্গে, উনিই জানিয়ে দেবেন আদৌ তা খাওয়া যাবে কি না বা খেলেও ঠিক কতটুকু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE