চিত্র প্রদর্শনীতে এক চিত্র-পিপাসু দর্শক। নিজস্ব চিত্র।
দূর-দিগন্ত ছুঁয়েছে রূপোলি জলরাশি। তাতে বিভিন্ন আাকারের, বিভিন্ন রংয়ের ‘নিষ্কলঙ্কিত’ পদ্মফুল। আর ফুলের গায়ে এসে পড়ছে সূর্যের সোনালি কিরণ। সৌরদ্যুতির ছোঁয়ায় অনন্য রূপ পেয়েছে পদ্মফুলগুলি। কোনও ফুল পাঁপড়িগুলো মেলে ধরেছে সৌন্দর্য ছড়ানোর অমোঘ টানে। আবার কোনওটি তখনও ঘুমিয়ে। শৈশব পেরিয়ে কৈশোরের দিকে যাওয়ার জন্য সবে পা বাড়িয়ে রয়েছে কোনও কোনও পদ্মফুল। বাস্তবতার সঙ্গে কল্পনার জগতের অদ্ভুত মিশেল। সব মিলিয়ে ‘কলঙ্কমুক্ত’ পদ্মের বিভিন্ন রূপ ফুটে উঠেছে চিত্রশিল্পী রীতা ঝুনঝুনওয়ালার আঁকা ছবিতে।
রীতা ঝুনঝুনওয়ালার সঙ্গে পরিচালক গৌতম ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
চিত্রশিল্পী রীতা ঝুনঝুনওয়ালার আঁকা কিছু ছবি নিয়ে সম্প্রতি আকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে চিত্র প্রদর্শনী হয়ে গেল। শিল্পী প্রদর্শনীটির নাম দিয়েছিলেন ‘আনসুলিড’ অর্থাৎ বিমল বা নিষ্কলঙ্ক। কাগজ এবং ক্যানভাসের উপর অ্যাক্রেলিক রং আর মিক্সড মিডিয়ামে ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী। তাঁর আঁকা ছবি দেখতে হাজির হয়েছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ। হাজির হয়েছিলেন অন্যান্য বিশিষ্ট চিত্রশিল্পীরাও। কলকাতার এই শিল্পী ১৯৭৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। রীতাদেবী তাঁর গুরুদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি।
শিল্পীর আঁকা ছবি।
তিনি জানান, বিখ্যাত জলরং শিল্পী ইন্দ্র দুগরের কাছ থেকে ছবি আঁকার পাঠ নিয়েছিলেন। এছাড়াও ক্যালকাটা আর্ট কলেজের অধ্যাপক অশেষ মিত্র, চিত্রা মজুমদার এবং বিমল দাশগুপ্তের কাছেও আঁকা শিখেছেন তিনি। ছবির জগতে এখন এক বিশিষ্ট নাম রীতা ঝুনঝুনওয়ালা। নয়াদিল্লিতে তিনি একটি পেন্টিং স্টুডিও খুলেছেন। কলকাতাবাসীকে এক অন্য ধরনের চিত্র প্রদর্শনী উপহার দিলেন শিল্পী।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসবের টুকরো কোলাজ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy