Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

আগে থেকে বোঝা সহজ নয়, সতর্কতা জরুরি

বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুর চতুর্থ কারণ স্ট্রোক। মস্তিষ্কের এই রোগ বিশেষ জানান দিয়ে আসে না। তাই স্ট্রোকের পরে চিকিৎসার থেকেও রোগটি প্রতিরোধ করা জরুরি। আর সেই জন্য দরকার জীবনশৈলীর পরিবর্তন। জানাচ্ছেন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ অঞ্জন পয়াল। সাক্ষাৎকার: প্রদীপ মুখোপাধ্যায়বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুর চতুর্থ কারণ স্ট্রোক। মস্তিষ্কের এই রোগ বিশেষ জানান দিয়ে আসে না। তাই স্ট্রোকের পরে চিকিৎসার থেকেও রোগটি প্রতিরোধ করা জরুরি। আর সেই জন্য দরকার জীবনশৈলীর পরিবর্তন। জানাচ্ছেন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ অঞ্জন পয়াল। সাক্ষাৎকার: প্রদীপ মুখোপাধ্যায়

রোগী দেখছেন চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র

রোগী দেখছেন চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৮ ০৩:০২
Share: Save:

প্রশ্ন: স্ট্রোক কী?

উত্তর: মস্তিষ্কের কোনও রক্তবাহী ধমনীতে কোনও ভাবে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত বা বন্ধ হয়ে মস্তিষ্কের কোনও অংশের কোষে রক্ত সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিলে ওই নির্দিষ্ট অংশটি অচল হয়ে পড়ে। একেই চিকিৎসার পরিভাষায় স্ট্রোক বলা হয়।

প্রশ্ন: স্ট্রোক হলে কী হতে পারে?

উত্তর: বর্তমান বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর চতুর্থ কারণ হিসেবে স্ট্রোককে চিহ্নিত করা হয়। স্ট্রোক হলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অক্ষমতা দেখা দিতে পারে। মস্তিষ্কের কোনও অংশের কোষে মিনিট পাঁচেক রক্ত না পৌঁছলে সেই নির্দিষ্ট অংশের কোষগুলি নষ্ট হয়ে যায়। এর জন্যই শারীরিক অক্ষমতা দেখা দেয়। স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, প্যারালিসিস বা পক্ষাঘাত হওয়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, কথা বন্ধ হয়ে যাওয়া, অঙ্গ বিকৃতি হয়ে যাওয়ার মতো নানা ধরনের অক্ষমতা দেখা দিতে পারে।

প্রশ্ন: আমরা অনেকের মুখে শুনি হার্ট স্ট্রোক হয়েছে। এই বিষয়টি কি ঠিক?

উত্তর: এ ব্যাপারে অনেকের বোঝার ভুল রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্টস্ট্রোক বলে কোনও শব্দ নেই। স্ট্রোক মস্তিষ্কের একটি রোগ। হৃদযন্ত্রের ধমনীতে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হলে হয় হার্টঅ্যাটাক। আর মস্তিষ্কের ধমনীতে রক্ত চলাচল বাধা পেলে বা ধমনী কোনও কারণে ছিঁড়ে গেলে হয় ব্রেনস্ট্রোক।

প্রশ্ন: স্ট্রোক সাধারণত কী ভাবে হয়?

উত্তর: মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে স্ট্রোক হতে পারে। কী ভাবে রক্ত চলাচল বন্ধ হল তার উপরে ভিত্তি করে স্ট্রোক কে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। (১) ইসকিমিক স্ট্রোক এবং (২) হেমারেজিক স্ট্রোক। পরিসংখ্যানের বিচারে প্রায় ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ইসকিমিক স্ট্রোক এবং বাকি ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে হেমারেজিক স্ট্রোক দেখা যায়।

প্রশ্ন: ইসকিমিক স্ট্রোক কী এবং কী জন্য হয়?

উত্তর: মস্তিষ্কের রক্তনালীতে কোলেস্টেরল বা লিপিড জাতীয় পদার্থ জমে গিয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ হলে বলা হয় ইসকিমিক স্ট্রোক। এতে মস্তিষ্কের যে অংশে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সেই অংশের কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রক্তে চর্বি বা কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে সাধারণত এ ধরনের স্ট্রোক হয়ে থাকে।

প্রশ্ন: হেমারেজিক স্ট্রোক কী এবং কী জন্য হয়?

উত্তর: মস্তিষ্কের কোনও রক্তনালী ছিঁড়ে ওই অংশে রক্ত ছড়িয়ে যায় এবং কোষগুলিকে ক্ষতি করে। এই ধরনের স্ট্রোককে হেমারেজিক স্ট্রোক বলে। সাধারণত উচ্চ-রক্তচাপের জন্য এ ধরনের স্ট্রোক হয়। একে ‘ইনট্রা সেরিব্রাল হেমারেজ’ও বলা হয়। আর এক ভাবেও এই ধরনের স্ট্রোক হতে পারে। রক্তনালী থেকে নানা কারণে বেলুনের মতো অংশ তৈরি হতে পারে। সেই বেলুন ফেটে গিয়েও রক্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

প্রশ্ন: কাদের ক্ষেত্রে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে?

উত্তর: যাঁদের উচ্চ-রক্তচাপ রয়েছে তাঁদের স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকা, হার্টের সমস্যা থাকলে, রক্তনালীর মধ্যে কোনও সমস্যা থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। এ ছাড়া স্বাভাবিকের থেকে শরীরের ওজন বেশি থাকলে, ধূমপান করলে, অত্যধিক মানসিক চাপের জন্যেও স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে যায়। কিছু ক্ষেত্রে স্ট্রোকের একটা পারিবারিক ইতিহাস থাকে। সাধারণ ভাবে দেখা গিয়েছে মহিলাদের থেকে পুরুষদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে মহিলাদেরও স্ট্রোকে মৃত্যু হয়।

প্রশ্ন: স্ট্রোক হলে বোঝা যাবে কী ভাবে?

উত্তর: স্ট্রোকের উপসর্গ সাধারণত নির্ভর করে মস্তিষ্কের কোন অংশে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়েছে তার উপরে। আমরা আগেই বলেছি, মস্তিষ্কের যে অংশে রক্ত চলাচল বন্ধ হয় সেখানের কোষগুলির নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই সূত্র ধরে উপসর্গগুলি চোখে পড়ে। তবে স্ট্রোকের কতগুলি প্রাথমিক লক্ষণ অবশ্য দেখা যায়। যেমন, হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, শরীরের কোনও এক দিকে দুর্বলতা বোধ করা, শরীরের কোনও এক দিক অবশ হয়ে যাওয়া, মুখের মধ্যে বিকৃতি আসা, প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া, বমি ভাব হওয়া বা বমি হওয়া, হাঁটাচলা বেসামাল হয়ে পড়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদি।

এ ছাড়া সাধারণ কয়েকটি পরীক্ষার মাধ্যমেও বুঝে নেওয়া যায় স্ট্রোক হয়েছে কি না। রোগীকে হাসতে বলার পরে দেখতে হবে তাঁর মুখের এক দিক ঝুঁকে যাচ্ছে কি না। হাত দু’টিকে উপরে তুলতে বলে দেখতে হবে কোনও হাত নীচে নেমে যাচ্ছে কি না। কোনও একটি সহজ কথা বলার জন্য বলতে হবে। যদি দেখা যায় শব্দগুলি অস্পষ্ট বা জড়িয়ে যাচ্ছে, তা হলে সময় নষ্ট না করে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

প্রশ্ন: স্ট্রোক হতে পারে আগে থেকে কি তা বোঝা যায় ?

উত্তর: মস্তিষ্কের এই রোগ, মানে স্ট্রোক কিন্তু একেবারেই আগে থেকে জানান দিয়ে আসে না। তবে যদি আগে থেকেই ধমনীতে রক্ত চলাচলে সমস্যা হয়, তা রক্তচাপ মাপলে ধরা পড়ে। বোঝা যায় শরীরের কোথাও একটা সমস্যা হচ্ছে। তবে অনেকেই বিপদের সেই ইঙ্গিতকে গুরুত্ব দেন না। ফলে সমস্যা বাড়তে থাকে। অনেক সময় হঠাৎ কারও হাতে বা ঘাড়ে যন্ত্রণা হতে শুরু হলে বেশিরভাগ মানুষই ভাবেন হয়তো শোওয়ার দোষে বা অন্য কোনও কারণে হচ্ছে। মাথা ব্যথা করলে ভাবেন অ্যাসিডিটি হয়েছে। এগুলি যে স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে সে কথা কিন্তু কেউ আগে থেকে ভাবেন না।

প্রশ্ন: স্ট্রোক হলে প্রাথমিক ভাবে কী করা উচিত?

উত্তর: খুব তাড়াতাড়ি তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। স্ট্রোকের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। অক্সিজেন ছাড়া মস্তিষ্কের কোষ কয়েক মিনিটের মধ্যেই মারা যায়। স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা যাওয়ার পরে তিন থেকে সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারলে মস্তিষ্কের ক্ষতি অনেকটা কমানো যেতে পারে। রক্তনালীর মধ্যে যে রক্ত জমাট বেঁধে আছে তা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ওষুধ দিয়ে ভেঙে দিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়া যেতে পারে। রোগীর রক্তচাপকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য চিকিৎসা শুরু করতে হবে। সিটি স্ক্যান বা এমআরআই-এর মাধ্যমে জেনে নেওয়া জরুরি কী ধরনের স্ট্রোক হয়েছে। স্ট্রোকের ধরন দেখে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। শরীরের কোনও অংশ যাতে অচল না হয়ে পড়ে তার জন্য চিকিৎসা করার প্রয়োজন। তা ছাড়া কোনও অঙ্গ অবশ হয়ে পড়লে বা কথা জড়িয়ে গেলে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি, স্পিচথেরাপি করে তা ঠিক করতে হবে। ইসকিমিক স্ট্রোকের থেকে হেমারেজিক স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণ করা তুলনামূলক ভাবে কঠিন। দ্রুত চিকিৎসা করা না হলে স্ট্রোক থেকে প্যারালিসিস বা পক্ষাঘাত এমনকী মৃত্যুও হতে পারে। তবে স্ট্রোক নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ, পরিসংখ্যান বলছে প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই স্ট্রোক হওয়ার পরে রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে সময় লাগে। এ ক্ষেত্রে ধৈর্য্য ধরে চিকিৎসকের কথা মতো চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।

প্রশ্ন: স্ট্রোক হলে অস্ত্রোপচার কতখানি জরুরি?

উত্তর: বেশ কিছু ক্ষেত্রে স্ট্রোক প্রতিরোধে অস্ত্রোপচার করা হয়। মস্তিষ্কের ধমনী সরু হয়ে গেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়। যাঁদের এই সমস্যার কারণে হালকা স্ট্রোক হয়েছে তাঁদের এই অস্ত্রোপচার খুব উপকারে আসে। এর মাধ্যমে ধমনীর ভিতরে জমাট বাঁধা আস্তরণ সরিয়ে দেওয়া হয়। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বা এন্ডোভাসকুলার চিকিৎসার মাধ্যমে খুব সহজেই অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হচ্ছে।

প্রশ্ন: স্ট্রোক যাতে না হয়, তার জন্য কী করা উচিত?

উত্তর: চিকিৎসাশাস্ত্রের একটি মূল কথা হল, ‘প্রিভেনশন ইজ় বেটার দ্যান কিওর’। এ ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। স্ট্রোক যাতে না হয় তার জন্য জীবনশৈলী বা লাইফস্টাইলের পরিবর্তন ঘটানো উচিত। একটি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় বর্তমানে বিশ্বে বছরে প্রায় ২ কোটি মানুষ ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এর একটাই কারণ জীবনশৈলীর পরিবর্তন।

সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন। এর জন্য আমাদের নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজন। এখন ব্যস্ততার মধ্যে শারীরিক ভাবে পরিশ্রম করার প্রবণতা কমে গিয়েছে। তাই নিদেনপক্ষে প্রতি দিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট করে দ্রুত পা চালিয়ে হাঁটা বা যোগাসন করা খুব দরকার। ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এতে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ফাস্টফুড বা তৈলাক্ত খাবার না খেয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ সবুজ শাকসব্জি, ফল খাওয়ার প্রয়োজন। উচ্চ-রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যদি এর জন্য নিয়মিত ওষুধ খাওয়া শুরু হয়ে যায়, তবে ওষুধ বন্ধ করলে চলবে না। এতে স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। কোলেস্টেরল বা ডায়াবেটিস থাকলে তাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ভুঁড়ি বাড়তে দিলে হবে না। বেশি মানসিক চাপ না নেওয়াই ভাল। দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুম আবশ্যিক। স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। জীবনশৈলীর যে সব কারণগুলি স্ট্রোকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সেগুলি নিয়ন্ত্রণে না রাখলে মস্তিষ্কের মধ্যে বার বার ছোট ছোট স্ট্রোক হয়। এগুলি হয়তো সব সময় বাইরে থেকে বোঝা যায় না। ছোট ছোট রক্তনালীগুলি আটকে যেতে থাকে। এতে ধীরে ধীরে মানুষের স্মৃতিশক্তি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এ সব কমতে থাকে। বার বার হতে হতে এক সময় মারাত্মক আকারে স্ট্রোক হলে তখন আর রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

প্রশ্ন: এক বার স্ট্রোক হয়ে গেলে পরবর্তী সময়ে স্ট্রোকের আশঙ্কা কতটা থাকে?

উত্তর: এক বার স্ট্রোক হলে পরের বার স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা ১০%। দ্বিতীয়বার স্ট্রোক হলে এই ঝুঁকি বেড়ে গিয়ে ২০% হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে ঠিক ভাবে নিয়মিত চিকিৎসা চালাতে হবে। নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, উচ্চ-রক্তচাপ, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এগুলি মেনে চললে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Stroke Doctor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE