সোয়াইন ফ্লু-এ আক্রান্ত হয়ে শনিবার রাজ্যে আরও একজন মারা গেলেন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট ৫ জন সোয়াইন ফ্লু-এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বলে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত অরুণ সেনগুপ্ত (৭২) আসানসোলের ডিপোপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ২৩ তারিখ, সোমবার পর্যন্ত এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশ জুড়ে মৃতের সংখ্যা ৮১২ জন বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে।
শনিবার কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে অরুণবাবুর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। মৃতের স্ত্রী শিবানী দত্তগুপ্ত মঙ্গলবার জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি অরুণবাবু মৌলালিতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বরের সঙ্গে ঘনঘন বমির উপসর্গও দেখা দেয়। তখনই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই অরুণবাবুর রক্ত পরীক্ষা করে সোয়াইন ফ্লু-এর জীবাণু পাওয়া যায় বলে জানা গিয়েছে। আসানসোলের স্বাস্থ্য আধিকারিকদেরও দাবি, অরুণবাবু কলকাতাতেই মারণ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। আসানসোলে ওই রোগের প্রাদুর্ভাবের এখনও পর্যন্ত কোনও খবর নেই স্বাস্থ্য দফতরের কাছে।
যদিও মঙ্গলবার অরুণবাবুর মৃত্যুর খবর পেয়েই তৎপর হয়ে পড়েন আসানসোলের স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা ও মহকুমা প্রশাসন। ডিপোপাড়া এলাকায় আরও কেউ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা অথবা কোথাও সোয়াইন ফ্লু-র উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কি না, তা নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর শুরু করা হয়। আসানসোল স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মনিকাঞ্চন সাহা জানিয়েছেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশের অপেক্ষা না করে ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় বিশেষজ্ঞ পাঠনো হয়েছে। ওই এলাকায় নিয়মিত নজরদারি চালানো হবে বলেও জানান মনিকাঞ্চনবাবু। জ্বরে কেউ আক্রান্ত হলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদেরও। মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস বলেন, “আসানসোলের অতিরিক্ত জেলা শাসকের নির্দেশে প্রাশাসনের তরফে ডিপোপাড়া এলাকায় বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে।’’ পুর কর্মীদের নিয়মিত নিকাশি ও আবর্জনা পরিষ্কারের বিষয়েও মহকুমা প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সোয়াইন ফ্লু-র উপসর্গ কী অথবা উপসর্গ দেখা দিলে কী করতে হবে তা জানিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। চিকিৎসকদের কথায় শীতের শেষ এবং বসন্তের শুরুতে নিয়মিত আবহাওয়া বদলের কারণেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের সংখ্যা।