Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

গাফিলতিতে মৃত্যু তরুণীর

চিকিৎসায় গাফিলতিতে নার্সিংহোমে ভর্তি থাকা এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এবং অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রোগীর পরিবার। উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাঁরা দেহ নিয়ে যাবেন না বলেও হুমকি দেন। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতার নাম অমৃতা দাস (২৯)। বাড়ি কালচিনির নিমতিঝোড়া চা বাগানে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৪১
Share: Save:

চিকিৎসায় গাফিলতিতে নার্সিংহোমে ভর্তি থাকা এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এবং অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রোগীর পরিবার। উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাঁরা দেহ নিয়ে যাবেন না বলেও হুমকি দেন। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতার নাম অমৃতা দাস (২৯)। বাড়ি কালচিনির নিমতিঝোড়া চা বাগানে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁদের দাবি, বিল না মেটানো সত্ত্বেও রোগীর চিকিৎসা চলছিল। মৃতার পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় তাঁরা রোগিণীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ বা কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “অভিযোগ মিলেছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

রোগীর চিকিৎসক এবং নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফে সুবাস সাহা বলেন, “মহিলার শরীরে যক্ষ্মার সংক্রামণ ছড়িয়ে পড়ে। রক্তচাপ কমে যাচ্ছিল। খেতে পাচ্ছিলেন না। এই অবস্থায় রোগিণীর পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে দেখে আমরা তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ বা বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই। কিন্তু তাঁরা টাকা জোগাড় করতে পারছেন না জানিয়ে এই নার্সিংহোমেই চিকিৎসার জন্য আবেদন করেছিলেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।” কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, চিকিৎসা ও নার্সিংহোমের খরচ সহ দেড় লক্ষ টাকা বিল হয়েছে। সেই টাকা না দেওয়ার জন্য এখন নানা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। রোগীর আত্মীয় দেবাশিস মজুমদার বলেন, “ওই পরিমাণ টাকা আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়, সে কথা আগে জানিয়েছিলাম। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে সে জন্য ঠিকমত চিকিৎসা করেননি। রোগীকে বাইরে নিয়ে যেতে দেননি।” মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগে কাশি ও শরীরে ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন অমৃতাদেবী। সে সময় আলিপুরদুয়ারে তিনি এক চিকিসককে দেখান। তাঁর পরামর্শেই তাঁকে কোচবিহারের ওই নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সপ্তাহ দুয়েক ওই নার্সিংহোমে তাঁর চিকিৎসা চলার পর তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। বাড়িতে গিয়ে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে একই চিকিৎসকের অধীনে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। মাস খানেক সেখানে থাকার পর তাঁর মৃত্যু হয়। রোগিণীর বাবা শ্যামানন্দ দাসের দাবি, “প্রথম দফায় বিলের সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়। সপ্তাহ খানেক আগে ফের ছুটির কথা জানিয়ে দেড় লক্ষ টাকা বিল ধরানো হয়। তা দিতে না পারায় ওকে নার্সিংহোম থেকে ছাড়া হচ্ছিল না। এই কয়েক দিন ধরে সঠিক চিকিৎসা না হওয়াতেই অমৃতার মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য মানবধিকার কমিশনেও বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

koachbihar nursing home negligence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE