Advertisement
০২ মে ২০২৪

গাফিলতি শুনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিধায়ক

চিকিৎসায় অবহেলায় শিশুমৃত্যুর অভিযোগে দু’দিন আগেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাঁকসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেহাল পরিস্থিতির কথা শুনে শুক্রবার হঠাৎই পরিদর্শন যান গলসির তৃণমূল বিধায়ক গৌরচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা জানাব।” ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ও পানাগড়-মোরগ্রাম রাজ্য সড়কের সংযোগকারী দার্জিলিং মোড় থেকে সামান্য দূরে রয়েছে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।

পরিদর্শনে গৌরচন্দ্র মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র।

পরিদর্শনে গৌরচন্দ্র মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৪ ০২:৪৪
Share: Save:

চিকিৎসায় অবহেলায় শিশুমৃত্যুর অভিযোগে দু’দিন আগেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাঁকসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেহাল পরিস্থিতির কথা শুনে শুক্রবার হঠাৎই পরিদর্শন যান গলসির তৃণমূল বিধায়ক গৌরচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা জানাব।”

২ নম্বর জাতীয় সড়ক ও পানাগড়-মোরগ্রাম রাজ্য সড়কের সংযোগকারী দার্জিলিং মোড় থেকে সামান্য দূরে রয়েছে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। সেটির উপরে নির্ভরশীল কাঁকসার আদিবাসী অধ্যুষিত বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বছর পাঁচেক আগে শয্যা সংখ্যা ১০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ হলেও অধিকাংশ শয্যা ফাঁকা পড়ে থাকে। অকারণে রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা বিধায়কের কাছে অভিযোগ জানান। ইন্ডোর ও আউটডোর, দু’জায়গাতেই ঠিক মতো পরিষেবা মেলে না বলে অভিযোগ।

শিশুমৃত্যুর জন্যও বাসিন্দারা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল চিকিৎসা ব্যবস্থাকেই দায়ী করেন। তাঁদের অভিযোগ, চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হলেও দু’ঘন্টা পরে চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত চিকিৎসক আসেন। তিনিও শিশুটিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। অবশ্য ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সাথী রায়চৌধুরী বাসিন্দাদের অভিযোগ মানেননি। তিনি জানান, পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় শিশুটিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ‘রেফার’ করেন ডাক্তার।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে বর্তমানে তিন জন পূর্ণ সময়ের ও এক জন চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক আছেন। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, এমন পরিস্থিতিতে ৩০ শয্যার স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালানো বেশ কঠিন। স্থানীয় বাসিন্দারা যদিও বিধায়ককে জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকেরা সময়ই দেন না।

শুক্রবার গৌরবাবুর সঙ্গে ছিলেন কাঁকসা ব্লকের যুব তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অজয় মজুমদার। তাঁরা রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। চিকিৎসক ও অন্য কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে মানুষকে সাধ্যমতো পরিষেবা দেওয়ার অনুরোধ করেন বিধায়ক। পরে গৌরবাবু বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামোগত উন্নতি এবং চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

mla visit child death negligence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE