দফতরে আসছেন না সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। তাই ১১ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি পরিষেবা।
রেডিওলজিস্টের অভাবে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে আল্ট্রসোনোগ্রাফি পরিষেবা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা মানুষজন। এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও বহির্বিভাগে আসা বহু প্রসূতি ও রোগীকে বিভিন্ন বেসরকারি প্যাথলজি ল্যাবরেটরিতে গিয়ে মোটা টাকা খরচ করে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করাতে হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, কলকাতার বাসিন্দা ওই চিকিৎসকের নাম অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অরিজিৎবাবু ছুটি না নিয়েই গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন। রবিবার হাসপাতাল সুপার ফোন করে সোমবারের মধ্যে অরিজিৎবাবুকে কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন। তা সত্ত্বেও তিনি এদিনও হাসপাতালে আসেননি বলে অভিযোগ।
হাসপাতাল সুপার অনুপ হাজরা বলেন, “অরিজিৎবাবু ছুটি না নিয়ে গত ১১দিন ধরে কাজে যোগ দিচ্ছেন না। ফলে হাসপাতালের আল্ট্রসোনোগ্রাফি পরিষেবা বন্ধ হয়ে রয়েছে। তাঁকে শোকজ করা হচ্ছে।” অরিজিতবাবুর অবশ্য দাবি করেছেন তিনি সুপারকে মৌখিকভাবে জানিয়েই অনুপস্থিত রয়েছেন। তবে কেনও তিনি লিখিতভাবে ছুটির আবেদন করেননি এবং কবে থেকে কাজে যোগ দেবেন, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে চাননি।
সোমবার হেমতাবাদের বাঙালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা কল্পনা বর্মন নামে এক প্রসূতির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বহির্বিভাগের চিকিৎসকেরা দ্রুত তাঁর আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করানোর পরামর্শ দেন। কল্পনাদেবী বলেন, “স্বামী ভ্যানচালক। হাসপাতালে এই পরিষেবা বন্ধ থাকায় এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে ৮০০ টাকা ধার করে বাইরের একটি প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবরেটরি থেকে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করাতে বাধ্য হয়েছি।” কালিয়াগঞ্জের ধনকোল এলাকার বাসিন্দা পেশায় সবজি ব্যবসায়ী আনওয়ারুল আলি। তিনি বলেন, “গত তিনদিন ধরে আমার ভাই পেটে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফি পরিষেবা বন্ধ থাকায় চিকিৎসকদের পরামর্শে এদিন এক হাজার টাকা খরচ করে বাইরে থেকে ভাইয়ের আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করিয়ে চিকিতৎসকদের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy