সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত ধূপগুড়ির বাসিন্দা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে সুস্থ করে তোলার কাজে ব্যস্ত জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের দুই চিকিত্সক জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়িতেই বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাঁদের। ঝুঁকি এড়াতে মঙ্গলবার দুই চিকিত্সকের গলার কফ এবং সংক্রমিত জায়গার দেহরসের নমুনা (সোয়াব) পরীক্ষার জন্য কলকাতায় ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এনটেরিক ডিজিস-এ’ পাঠানো হয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই চিকিত্সক সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন কি না সেটা পরীক্ষার রিপোর্ট পৌঁছানোর পরে স্পষ্ট হবে।
সদর হাসপাতালের সুপার পার্থ দে বলেন, “হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা দুই ফিজিসিয়ান হাল্কা জ্বরে ভুগছেন। তাঁদের বাড়িতে বিশেষ ব্যবস্থা করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে এদিনও সোয়াইন ফ্লু নিয়ে গুজব না ছড়ানো এবং জ্বরে আক্রান্ত দুই চিকিত্সকের নাম পরিচয় গোপন রাখতে অনুরোধ করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই চিকিত্সক গত ৭ মার্চ থেকে জ্বরে ভুগছেন। সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে ছিলেন তাঁরা। তাই জ্বর দেখা দেওয়া মাত্র তাঁদের বাড়িতে আইসোলেশন ওয়ার্ডের মতো পরিবেশ তৈরি করে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়। এদিকে সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত ধূপগুড়ির বাসিন্দা সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সুস্থ আছে বলে এদিন স্বাস্থ্য কর্তারা জানান। হাসপাতালের সুপার বলেন, “ছাত্রটির জ্বর নেই। ভাল আছে।”
১ মার্চ রাতে ধূপগুড়ি হাসপাতাল থেকে ওই ছাত্রকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত শুক্রবার রাতে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এনটেরিক ডিজিস-এ পাঠানো ছাত্রের দেহরসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের হাতে পৌঁছায়। উত্তরবঙ্গে প্রথম সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসাতে জেলা জুড়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মেনে ছাত্রটির চিকিত্সা করা হয়। শুরু থেকে সদর হাসপাতালের যে চিকিত্সক দল ‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে’ বারো বছরের ওই ছাত্রের চিকিত্সার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের অন্যতম দুজন সদস্য জ্বরে আক্রান্ত হন। হাসপাতালের সুপার জানান, অসুস্থ দুই চিকিত্সকের জ্বর হলেও তাঁদের দেহে সোয়াইন ফ্লু-র উপসর্গ নেই। কিন্তু ঝুঁকি না নিয়ে দেহরসের নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “নতুন করে সোয়াইন ফ্লু-র উপসর্গ নিয়ে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হননি। সন্দেহ হলে দেহরস পরীক্ষা করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy