ডেঙ্গি প্রতিরোধে শিলিগুড়ি পুরসভা এবং স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের দল আজ, শনিবার থেকে শিলিগুড়ির পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডগুলিতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সচেতনতা প্রচারের কাজ শুরু করবে। তার মধ্যে ৭, ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডেই ডেঙ্গির আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
তা ছাড়া অন্যান্য আরও ৯ টি ওয়ার্ড রয়েছে। সব মিলিয়ে ১২টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গির সংক্রমণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে এই মাসে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল বা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেশি রোগী না গেলেও অধিকাংশ নার্সিংহোমগুলিতেই চিকিত্সা করিয়েছেন বলে জানতে পেরেছে স্বাস্থ্য দফতর। অক্টোবর মাসে সব মিলিয়ে শিলিগুড়ি পুর এলাকায় অন্তত ৩৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে তারা রিপোর্ট পেয়েছেন।
দার্জিলিং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত বিশ্বাস বলেন, “শনিবার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করার কাজ শুরু করবেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীরাও থাকবেন। বাড়ির ভিতরে টবে, কৌটয় বা অন্য কোনও পাত্রে জমে থাকা জল তারা ফেলে দেবেন। কেন না ওই সমস্ত জায়গাতেই ডেঙ্গির জীবাণুবাহক এডিশ মশা জন্মায়।” তিনি বলেন, “সপ্তাহে শনিবার এবং রবিবার করে ওই অভিযান চলবে।” রোগ প্রতিরোধে পুর কর্তৃপক্ষকে সাফাই পরিষেবায় জোর দিতে বলেছেন তাঁরা।
অন্য দিকে মালদহের কালিয়াচকের নয়াবাঁধ গ্রামে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও জ্বরে নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি। কালিয়াচকের নয়াবাঁধ গ্রামে জেলা স্বাস্থ্য দফতর মেডিক্যাল ক্যাম্প করে গ্রামবাসীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা শুরু করেছে।
জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিতাভ মন্ডল বলেন, “নয়াবাঁধ গ্রামে মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হয়েছে। শুক্রবার পযর্ন্ত নয়াবাঁধ গ্রামে ২০০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন পযর্ন্ত একজনের রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু পাওয়া গিয়েছে।”
ডেঙ্গির জীবাণু কারও রক্তে এখন মেলেনি বলে তিনি দাবি করেন। যাদের রক্তের নমুনা সংগ্রেহ করা হয়েছে তাদের রক্তে কী জীবাণু রয়েছে তা দুই একদিনের মধ্যেই জানা য়াবে তিনি আশ্বাস দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy