Advertisement
২০ মে ২০২৪

ডেঙ্গি রুখতে তত্‌পর নয় পুরসভা, অভিযোগ

শনিবারই খালপাড়ার একটি নার্সিংহোমে ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে অনিমা শেঠের। রবিবার সন্ধ্যায় তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। সেখানে তিনি অভিযোগ করলেন, এলাকার অনেক বাড়িতেই জ্বরে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০১:২৭
Share: Save:

শনিবারই খালপাড়ার একটি নার্সিংহোমে ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে অনিমা শেঠের। রবিবার সন্ধ্যায় তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। সেখানে তিনি অভিযোগ করলেন, এলাকার অনেক বাড়িতেই জ্বরে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। অনেকেরই ডেঙ্গি ধরা পড়েছে বলে জানতে পেরেছি। অথচ পুরসভা মশা মারতে কিছুই করছে না। স্বাস্থ্য দফতরও তত্‌পর নয়।

শহরের ৪-৯, ২৮, ২৫, ৩১, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গির সংক্রমণ বেড়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য ওয়ার্ডেও ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুই জন ভর্তি রয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা কম হলেও জরুরি বিভাগে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিত্‌সা করাতে যাচ্ছেন অনেকেই। ডেঙ্গি আক্রান্ত ওয়ার্ডগুলিতে সাফাই পরিষেবা নিয়েও বাসিন্দারা সরব হয়েছেন। গত শুক্রবার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গানগরের বাসিন্দা সঞ্জয় খাতি নামে এক কিশোর ডেঙ্গি এবং এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তাঁর পরিবারের লোকেরা এবং পড়শিরাও সাফাই পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন।

পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, “স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতো যে সমস্ত ওয়ার্ডে রোগ সংক্রণ রয়েছে সেখানে মশা মারার তেল স্প্রে করা, ধোঁয়া ছড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে।”

ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে এখন অন্তত দশজন রোগী শিলিগুড়ির বিভিন্ন নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে যে ২ জন ভর্তি রয়েছেন, এনএসওয়ান রক্ত পীরক্ষায় প্রাথমিক ভাবে ডেঙ্গির সংক্রমণ ধরা পড়লেও ম্যাক এলাইজা পরীক্ষায় তাদের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মেলেনি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন।

খালপাড়ার একটি নার্সিংহোমে, কলেজপাড়া, তিলকরোড, বর্ধমান রোড, সেবক রোডের নার্সিংহোমগুলিতে ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি অনেকে। খালপাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি টিকিয়াপাড়ার এক কিশোর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর শরীরে অনুচক্রিকা ১০ হাজারে নেমে গিয়েছে। চিকিত্‌সক তাকে ৯ ইউনিট অনুচক্রিকা দেওয়ার কথা বলেছেন। তার মধ্যে রবিবার দুপুর পর্যন্ত ৩ ইউনিট দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি জায়গা থেকে অনুচক্রিকা সংগ্রহ করতে রোগীর পরিবারকে হয়রান হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ কিশোরের পরিবারের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE