Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নতুন ভবন হলেও ডাক্তার মেলেনি, ধুঁকছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র

স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির জন্য বছর ছয়েক আগে নতুন ভবন তৈরি করা হলেও মাত্র একজন চিকিত্‌সক ও দু’জন নার্সের ভরসায় চলছে কাঁকসার সিলামপুর গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অবিলম্বে কেন্দ্রটির হাল ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

সিলামপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

সিলামপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৫০
Share: Save:

স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির জন্য বছর ছয়েক আগে নতুন ভবন তৈরি করা হলেও মাত্র একজন চিকিত্‌সক ও দু’জন নার্সের ভরসায় চলছে কাঁকসার সিলামপুর গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অবিলম্বে কেন্দ্রটির হাল ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির জন্য নতুন ভবনের পাশাপাশি অস্ত্রোপচারের জন্য এবং শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য তৈরি করা হয় আলাদা ঘর। কিন্তু চিকিত্‌সক এবং স্বাস্থ্য কর্মীর অভাবের জন্য এখনও পর্যন্ত সেগুলির কোনোটাই এখনও চালু করা যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সিলামপুর, আয়মা, কেটেন, নপাড়া, ধোবাঘাটার মতো বেশকিছু গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিয়মিত প্রয়োজনীয় ওষুধও মেলে না স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি থেকে। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একমাত্র চিকিত্‌সককেও রাতের বেলায় পাওয়া যায় না। এর ফলে ওই রাতের বেলায় কেউ অসুস্থ হলে ভরসা প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরের কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথবা ৭ কিলোমিটার দূরে পানাগড়ের বেসরকারি নার্সিংহোম। সিলামপুরের বাসিন্দা পিন্টু প্রধান জানান, গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই চাষের উপর নির্ভরশীল। তাই তাঁদের পক্ষে বাইরে গিয়ে চিকিত্‌সা করানোর সঙ্গতি নেই। তাঁর দাবি, “সাধারণ মানুষের কথা ভেবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির হাল পেরানো দরকার।”

বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেল, কিছুদিন আগে পর্যন্তও ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ জন রোগী আসতেন। তাই এখন রোগীর সংখ্যাও অনেক কমে গিয়েছে। সিলামপুরের বাসিন্দা খাদেম মোহর আলি খানও বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির এখন যা হাল, তাতে বাসিন্দারা প্রাথমিক চিকিত্‌সার জন্যও যেতে ভয় পাচ্ছেন।”

স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির হাল ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন সিলামপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সিংহও। তাঁর অভিযোগ, নতুন ভবন তৈরি করে শুধু উদ্বোধনই করা হয়েছে, কিন্তু সেটি চালু করার বিষয়ে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। স্বপনবাবুর দাবি, চব্বিশ ঘন্টায় চিকিত্‌সক ও নার্সদের রাখার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরের আবাসনগুলি সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির পরিকাঠামোর উন্নতি করার জন্য পঞ্চায়েতের তরফেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আমলাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেখ আইনুল হক। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির চারিদিকে সীমানা পাঁচিল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কীভাবে চিকিত্‌সা পরিষেবার উন্নতি করা যায় সে বিষয়ে বিভিন্ন মহলে আবেদন করা হয়েছে।” ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, বিষয়টি নিয়ে ঊধ্বর্র্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE