নবজাত শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে বার বার শিশুমৃত্যুর ঘটনা বাড়তে থাকায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে ছ’টি শিশুর মৃত্যু হয়। তার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন শিশুর মৃত্যু হওয়ায় শনিবার সকালে এক মৃত শিশুর আত্মীয়েরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান। তদন্তের আশ্বাস দিয়ে সুপার ঘেরাও মুক্ত হন। কিছু দিন আগেও এমনই ভাবে আরও কিছু শিশুর মৃত্যু হয়েছিল এখানে। হাসপাতাল সুপার নীলাঞ্জনা সেন বলেন, “ওই শিশুগুলির অনেকেরই ওজন খুব কম ছিল। তা ছাড়া জন্মগত শ্বাসকষ্টেও ওরা ভুগছিল।”
তবে শনিবার ভোর রাতে যে শিশুকন্যার মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয়, তার পরিজনদের দাবি, স্বাভাবিক ওজন নিয়েই ওই শিশু জন্মেছিল। শিশুটির বাবা আড়শার পুয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা বিদ্যাধর কুইরী-র দাবি, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুর জন্ম হয়। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লেও চিকিৎসকেরা প্রথমে গুরুত্ব দেননি। তিনি চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন।” বিক্ষোভের খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে পুরসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের বিভাস দাস. দাবি করেন, “কোথায় গাফিলতি রয়েছে তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে খুঁজে বের করতে হবে।” সুপার জানান, গত কয়েকদিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “আমরা তদন্ত শুরু করেছি।” তিনি জানান, নবজাত শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে শয্যা খালি না থাকায় ওই শিশুদের কাউকে সেখানে ভর্তি করা যায়নি। তদন্ত রিপোর্ট রাজ্য স্বাস্থ দফতরকে তিনি পাঠাবেন। তবে ওই কেন্দ্রে জায়গা দেওয়া গেলে শিশুদের বাঁচানো যেত বলে মৃতদের পরিজনদের দাবি। সম্প্রতি ওই কেন্দ্রে দু’টি শয্যা বাড়িয়ে ২২টি করা হয়েছে। কিন্তু তাও পর্যাপ্ত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy