Advertisement
০২ মে ২০২৪

হয়রানির অভিযোগ রামপুরহাট হাসপাতালে

অস্ত্রোপচার করা হবে বলে সময়ও দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, অপারেশন রুমে নিয়ে যাওয়ার জন্য পোশাকও পরানো হয়েছিল। কিন্তু চিকিত্‌সক আর অস্ত্রোপচার করতে রাজি হননি বলে অভিযোগ উঠেছে রামপুরহাট হাসপাতালে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:০৪
Share: Save:

অস্ত্রোপচার করা হবে বলে সময়ও দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, অপারেশন রুমে নিয়ে যাওয়ার জন্য পোশাকও পরানো হয়েছিল। কিন্তু চিকিত্‌সক আর অস্ত্রোপচার করতে রাজি হননি বলে অভিযোগ উঠেছে রামপুরহাট হাসপাতালে। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনায় হাসপাতালের এক স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেন দুই রোগী। হাসপাতাল সুপার সুবোধকুমার মণ্ডল জানান, ওই দুই রোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী সোমবার অভিযোগকারীদের তা জানানো হবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই রোগী বন্ধ্যাকরণের জন্য হাসপাতালে আসেন। সাত দিন আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই দুই রোগীকে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য জানিয়েছিল। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে নাম লিখে সেখান থেকে ইঞ্জেকশন নিয়ে তাঁরা মহিলা ভর্তি হন। ওই দুই মহিলার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে চিকিত্‌সক রোগীদের দেখতে এসে আমাদের মতো বন্ধাত্বকরণের জন্য ভর্তি হওয়া ১২ জন মহিলাকে রাতে ভারি খাবার খেতে মানা করেন এবং সকালের দিকে খালি পেটে থাকার নির্দেশ দেন। এ দিন অপারেশন রুমেও তাঁদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। অথচ আমাদের বাদ দিয়ে পরে ভর্তি হওয়া দু’জনের অস্ত্রোপচার করেন চিকিত্‌সক। আমাদের আর অস্ত্রোপচার করবেন না বলে জানিয়ে দেন।” আগাম তারিখ দিয়ে কেন হেনস্থা করা হলে তা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন। অভিযুক্ত স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ স্বাগতা মজুমদার বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি থাকা কোনও রোগীকে অস্ত্রোপচার করব না বলে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়নি। তাঁদেরকে আজ, শনিবার অস্ত্রোপচারের দিন দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের যা পরিকাঠামো তাতে একসঙ্গে ১০ জনের অস্ত্রোপচার করা যায়। সেই মতো আমি ১০ জনের অস্ত্রোপচার করেছি। কেন ১২ জনকে ভর্তি করা হয়েছিল সে ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জবাব দেবেন।” সুপার বলা সত্ত্বেও কেন করেননি? সে প্রশ্নের জবাবে স্বাগতা দেবী জানান, এ ব্যাপারে যা বলার সুপারকে জবাব দেবেন। সুপার বলেন, “হাসপাতালে একসঙ্গে ১০ জনের বেশি বন্ধ্যাকরণ করা যাবে না এ রকম নির্দেশ আমার কোথাও দেওয়া নেই। তবে ওই চিকিত্‌সক কেন করেননি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে চিকিত্‌সককে শো-কজ করা হতেও পারে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rampurhat hospital operation harassment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE