Advertisement
১১ মে ২০২৪

কালো টাকা নিয়ে দিল্লির সমন পেল এইচএসবিসি

কর ফাঁকি, বেআইনি আর্থিক লেনদেন ও নানা দেশের ব্যাঙ্কের মধ্যে বেআইনি লেনদেন নিয়ে তদন্তের মুখে পড়েছে এইচএসবিসি। ভারতের কর দফতরও তাদের সমন পাঠিয়েছে বলে আজ জানিয়েছে এইচএসবিসি। তদন্তের পরে তাঁদের মোটা জরিমানা করা হতে পারে বলেও মনে করছেন এইচএসবিসি কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:২১
Share: Save:

কর ফাঁকি, বেআইনি আর্থিক লেনদেন ও নানা দেশের ব্যাঙ্কের মধ্যে বেআইনি লেনদেন নিয়ে তদন্তের মুখে পড়েছে এইচএসবিসি। ভারতের কর দফতরও তাদের সমন পাঠিয়েছে বলে আজ জানিয়েছে এইচএসবিসি। তদন্তের পরে তাঁদের মোটা জরিমানা করা হতে পারে বলেও মনে করছেন এইচএসবিসি কর্তৃপক্ষ।

এইচএসবিসি-র সুইৎজারল্যান্ড শাখায় বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে কালো টাকা নিয়ে তদন্ত চলছে দীর্ঘদিনই। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে ওই শাখার এক লক্ষ গ্রাহকের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন প্রথম সারির শিল্পপতি-সহ ১,১৯৫ জন ভারতীয়ও ছিলেন। তার পরে এইচএসবিসি-র ওই শাখার মাধ্যমে কালো টাকার লেনদেন নিয়ে তদন্তে আরও গতি আনে বিভিন্ন দেশ।

আজ তাদের বার্ষিক রিপোর্টে এই তদন্ত নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে এইচএসবিসি। ওই গোষ্ঠীর পক্ষে জানানো হয়েছে, ভারত, আমেরিকা, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, আর্জেন্তিনা এবং সুইৎজারল্যান্ড এই বিষয়ে তদন্ত করছে। ভারতে এইচএসবিসি গোষ্ঠীর একটি সংস্থা নিয়ে নয়াদিল্লি তাদের সমন পাঠিয়ে তথ্য চেয়েছে। আবার এইচএসবিসি গোষ্ঠীর একটি ভারতীয় সংস্থার কিছু মার্কিন গ্রাহক সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে আমেরিকা। ওই গ্রাহকরা আমেরিকা প্রবাসী ভারতীয়। তাঁদের বিরুদ্ধে আমেরিকার কর আইন ভাঙার অভিযোগ রয়েছে।

এইচএসবিসি-র তরফে জানানো হয়েছে, এখন কালো টাকার বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে হইচই হচ্ছে। তাই আরও অনেক তদন্তকারী সংস্থা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। এই তদন্ত প্রক্রিয়া কোথায় শেষ হবে তা বলা এখনই সম্ভব নয় বলে মেনে নিয়েছে এইচএসবিসি। তাদের কড়া জরিমানা করা হতে পারে বলেও মেনে নিয়েছে ওই গোষ্ঠী।

গত সপ্তাহেই এইচএসবিসি-র সুইৎজারল্যান্ড শাখার কার্যকলাপ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন গোষ্ঠীর সিইও স্টুয়ার্ট গালিভার। কিন্তু ওই শাখায় গালিভারের নিজের একটি অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ ডলার ছিল বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের একাংশ। পানামায় নথিবদ্ধ এক সংস্থার নামে গালিভার ওই অর্থ রেখেছিলেন বলে দাবি সংবাদমাধ্যমের। ফলে, অস্বস্তি বেড়েছে এইচএসবিসি গোষ্ঠীর। তাদের তরফে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে গালিভারের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, এইচএসবিসি গোষ্ঠীর সিইও এখন ব্রিটেনে থাকেন। কিন্তু তিনি হংকংয়েরও স্বীকৃত স্থায়ী বাসিন্দা। হংকং ছেড়ে ব্রিটেনে যাওয়ার সময়ে নিজের বোনাস জমা রাখতে ওই অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করেছিলেন তিনি। গালিভার হংকংয়ের সর্বোচ্চ করদাতাদের মধ্যে ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

black money summon hsbc
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE