বানভাসি: গামলায় ভেসেই যাত্রা। রবিবার অসমের মরিগাঁওয়ে। পিটিআই
অসমে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই শোচনীয় হচ্ছে। রাজ্যের ২৮টি জেলার ৩১৩৮টি গ্রাম বানভাসি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা প্রায় ২৬ লক্ষ ৪৬ হাজার। এখন পর্যন্ত অসমে বন্যা ও ধসে মারা গিয়েছেন ১১ জন। গুয়াহাটিতে ব্রহ্মপুত্রের জল বেড়ে পানবাজার, ফ্যান্সিবাজার এলাকায় মূল রাস্তা ছোঁয়ার উপক্রম হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পারে আজান পীর উদ্যান জলের তলায়। বাক্সা জেলায় বেকি নদীর বন্যায় আটকে পড়া বালিপুর চরের গ্রামবাসীদের উদ্ধার করতে সেনার সাহায্য নেওয়া হয়।
মিজোরামে খাওতলাং তুইপুই (কর্ণফুলি নদী) নদীর বন্যার জেরে লাবুং এলাকা থেকে ২০০ পরিবারকে সরান হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নামছে ধস। অনেক সড়ক বন্ধ। অরুণাচলের পূর্ব সিয়াং জেলায় সিয়াং নদী বিপদসীমার উপরে বইছে। সিকু নদীর বন্যায় সেতু ভেসেছে। কাদাং, গপোক, সিসার, তারো তামাক, সুবনসিরি, দিবাং, জোনা, ডিক্রং নদীগুলি ক্রমেই বিপদসীমা ছাড়াচ্ছে। পাঁচ দিন আগে পশ্চিম কামেং জেলায় নাগমন্দিরের কাছে হড়পা বানে রাস্তা ও সেতু ভেসে অনেক গাড়ি আটকে ছিল। শনিবার সেসা ও জিরোর মধ্যে আটকে পড়া ৪৫ জন আরোহীকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু ২১টি গাড়ি ও একটি বাস সেখানেই পড়ে আছে। রাস্তা ফের তৈরি না হলে সেগুলি উদ্ধার করা যাবে না। লোহিত নদীর পাগলাম বাঁধ ভেঙে অনেক গ্রাম জলমগ্ন। চিকু নদীরও বাঁধ ভেঙেছে। বিভিন্ন সড়কে ধস পরিষ্কার করতে রাতদিন কাজ করছে বিআরও এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ধসের জেরে চিন সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির সঙ্গে সেনাবাহিনীর যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
রাজ্যের পরিস্থিতি সামলাতে ৮৪ জন ডুবুরি-সহ তিন কোম্পানি এসডিআরএফ মোতায়েন আছে। এনডিআরএফ পাঠানো হয়েছে শিবসাগর, তিনসুকিয়া, শোণিতপুর, ধেমাজি, শিলচর, যোরহাট, বঙাইগাঁওতে। কাজিরাঙা, ওরাং, পবিতরার অরণ্যের সিংহভাগই জলের তলায়। এই সুযোগে যাতে চোরাশিকারিরা সক্রিয় না হতে পারে সে জন্য কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy