গন্ডার শিকার বন্ধ করা ও দু’দিন আগে গন্ডার হত্যার অকুস্থল ঘুরে দেখতে ফের কাজিরাঙা গেলেন বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম। এ দিন তিনি অগরাতলি রেঞ্জ ঘুরে দেখেন। বনমন্ত্রীর সফরের দিনেই স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স ও বনরক্ষীদের যৌথ অভিযানে কাজিরাঙায় গোলাপ তালুকদার-সহ চার চোরাশিকারিকে ধরে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রামবাসীদের কাছে খবর পেয়েই পুলিশ গেলেকিগাঁওয়ে গোলাপের বাড়িতে হানা দেয়। তার বাড়ি থেকে মিলেছে তিনটি .৩০৩ রাইফেল ও অনেক গুলি। তাকে জেরা করে আরও তিন শিকারিকে এসটিএফ ধরেছে। তাদের কাছ থেকে আরও দু’টি রাইফেল ও গুলি মেলে। গত কালও রণজ পেগু নামে এক শিকারিকে ধরে .৩০৩ রাইফেল, সাইলেন্সার, গুলি পেয়েছিল পুলিশ। তাদের জেরা করে চক্রটি সম্পর্কে বিশদ তথ্য বের করার চেষ্টা চলছে। বন বিভাগ জানায়, এ বারের অভিযানের উল্লেখযোগ্য বিষয়, গ্রামবাসীরা শিকারিদের লুকিয়ে না রেখে তাদের ব্যাপারে পুলিশকে খবর দিয়ে সাহায্য করেছে। পাশাপাশি, শিকারি ও সন্দেহভাজন শিকারিদের গ্রাম থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তও নেন গ্রামবাসীরা। অন্য দিকে, ব্রহ্মপুত্রের উত্তর পারেও বিশ্বনাথ চারিয়ালিতে পুলিশ শিকারি দমনে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ১৯ জন শিকারিকে গ্রেফতার করেছে। এসপি অঙ্কুর জৈন জানান, সুতিয়া ও জিঙ্গিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই শিকারিদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি .৩০৩ রাইফেল, একটি হাতেগড়া কার্বাইন, একাধিক ম্যাগাজিন ও প্রচুর গুলি। কাজিরাঙার বাগরি বনাঞ্চল লাগোয়া কুঠরি নাজান গ্রাম থেকে পুলিশ শিকার চক্রে জড়িত দুই মহিলাকেও গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২৫ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা। পুলিশ জানায় ধরা পড়া শিকারিরা বিভিন্ন সময় গন্ডার শিকারে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy