উপত্যকায় ফের শুরু গুলির লড়াই।
কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার বাবাগুন্ড এলাকায় আজ জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল নিরাপত্তা বাহিনী। একটি বাড়িতে দু’জন জঙ্গিকে পড়ে থাকতে দেখেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। তাঁরা ভেবেছিলেন, সংঘর্ষে ওই দু’জন নিহত হয়েছে। পড়ে থাকা জঙ্গিদের কাছে যাওয়া মাত্রই তারা গুলি চালাতে শুরু করে। নিহত হন সিআরপি-র এক ইনস্পেক্টর ও এক জন জওয়ান, সেনা বাহিনীর দুই জওয়ান এবং জম্মু-কাশ্মীরের এক পুলিশকর্মী। সংঘর্ষে দু’জন জঙ্গিও নিহত হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছেন চার জন নিরাপত্তা রক্ষীও।
কুপওয়ারায় যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ হয়েছিল, তার কাছাকাছি আরও একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একদল তরুণের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ওয়াসিম আহমেদ মীর নামে এক তরুণ গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আজ সকাল থেকেই দেশবাসীর নজর ছিল পাকিস্তানের কব্জা থেকে বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের দেশে ফেরার দিকে। তার মধ্যেই রক্তাক্ত হল উপত্যকা। সেনা সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে নিরাপত্তা বাহিনী খবর পায়, বাবাগুন্ড এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে কয়েক জন জঙ্গি। সেই মতো আজ সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে রাজ্য পুলিশের এসওজি, সিআরপি-র ৯২ নম্বর ব্যাটেলিয়ন এবং সেনাবাহিনীর ২২ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের যৌথ বাহিনী। বেলার দিকে নিরাপত্তা বাহিনীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনীও। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থলের একটি বাড়িতে দু’জন জঙ্গিকে পড়ে থাকতে দেখে যৌথ বাহিনী। মনে করেছিল, সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছে। জওয়ানেরা তাদের কাছে যাওয়া মাত্রই এক জঙ্গি উঠে দাঁজডিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে। হতচকিত জওয়ানেরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। আহত ন’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়।
পুঞ্চ জেলায় আজ ব্যাপক গুলি চালায় পাক সেনা। পরপর আট দিন সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। এক সেনা অফিসার বলেন, ‘‘গত কাল রাত দেড়টা থেকে পাক সেনারা কৃষ্ণঘাটি সেক্টরে মর্টার নিয়ে হামলা চালায়। ভারতীয় সেনারাও যোগ্য জবাব দিয়েছে।’’ ওই অফিসার জানিয়েছেন, পুঞ্চের মানকোট এলাকায় নাসিম আখতার নামে এক মহিলা পাক সেনার গুলিতে আহত হয়েছেন। পাক সেনারা জনবসতি লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে এবং মর্টার ছুড়ছে। পাক সেনার গুলিতে রাজৌরি জেলাতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজৌরি জেলার মানঞ্জকোট এলাকায় পাক সেনাবাহিনীর গুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি ঘুরে দেখেন জেলার ডেপুটি কমিশনার মহম্মদ আজিজ আসাদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy