আধার মামলার রায় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানালেন ওই মামলার আবেদনকারী ও অধিকার রক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা। আধারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রথম সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কর্নাটক হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি পি এস পুট্টাস্বামী। আর্জিতে তিনি জানান, অধিকার বা পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে আধার বাধ্যতামূলক করা উচিত নয়। পরে ধীরে ধীরে এ নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন অনেক সমাজকর্মী, প্রাক্তন সরকারি কর্মী, জয়রাম রমেশ, অচ্যুতানন্দনের মতো রাজনীতিক ও পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্য।
রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন পুট্টাস্বামী। তাঁর কথায়, ‘‘মনে হচ্ছে আধার আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় সঠিক। তবে আমি পুরো রায় এখনও পড়ে দেখিনি।’’ আধার-প্যান সংযোগ বাধ্যতামূলক করা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আয়কর যাঁরা দেন তাঁদের সংখ্যা সীমিত। তাঁরা ভিন্ন শ্রেণির।’’
মামলার আবেদনকারী ও সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা টুইটারে বলেছেন, ‘‘আধার আইনের ৫৭ নম্বর ধারা খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মোবাইল ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে আধার সংযোগ করার প্রয়োজন নেই। আমি খুব খুশি।’’ খারিজ হওয়া ৫৭ নম্বর ধারায় রাষ্ট্র ছাড়াও কর্পোরেট সংস্থাকে আধার চাওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছিল।
আর এক আবেদনকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ম্যাথু টমাসের বক্তব্য, ‘‘এই রায়ে আংশিক সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। আধার পুরোপুরি খারিজ করার উপায় খুঁজে বার করা প্রয়োজন। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের গলদ ফের তুলে ধরা প্রয়োজন। রায় খতিয়ে দেখার পরে আমরা সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ আর্জিও পেশ করতে পারি।’’ প্রাক্তন
মেজর জেনারেল সুধীর ভমবাটকেরের মতে, ‘‘রায়ের সব দিক আগে খুঁটিয়ে দেখা প্রয়োজন। কোনও ভর্তুকি নিতে না চাইলে আধারের আওতা থেকে কী ভাবে বেরনো যাবে তা স্পষ্ট নয়।’’
সাইবার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ পবন দুগ্গলের কথায়, ‘‘আধারে সাইবার সুরক্ষার দিকগুলি নিয়ে সরকারের এখনই সক্রিয় হওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy