নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অমৃতসরে। ছবি: পিটিআই।
কেরল, পঞ্জাবের সরকার আগেই করেছিল। এ বার তালিকায় জুড়ল রাজস্থানের নামও। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) প্রত্যাহারের দাবিতে আজ রাজ্য বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাশ করল রাজস্থানের কংগ্রেস শাসিত সরকার। পঞ্জাবের পরে এটি দ্বিতীয় কংগ্রেস শাসিত রাজ্য যারা তাদের রাজ্যে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ করল। সম্প্রতি বাম শাসিত কেরল সরকারও একই দাবিতে তাদের বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করেছে। যাতে সায় দিয়েছে কেরলের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও।
আজ এই প্রস্তাব পাশকে কেন্দ্র করে বিধানসভায় শাসক-বিরোধী নেতাদের মধ্যে গোলমাল বাধে। প্রস্তাব পাশের সময় বিজেপির নেতারা ওয়েলে নেমে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। তবে ধ্বনি ভোটে সেই প্রস্তাব সভায় পাশ হয়ে যায়। তার পরে অবশ্য বিরোধী নেতারা বিতর্কে অংশ নেন।
বিধানসভায় প্রস্তাবটি পেশ করে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী শান্তি ধাড়িওয়াল বলেন, ‘‘এটা স্পষ্ট যে, সিএএ সরাসরি সংবিধানের বিধি লঙ্ঘন করেছে। তাই এই সভা ভারত সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছে, কাউকে নাগরিকত্ব দিতে গিয়ে তাঁর ধর্মকে যেন অগ্রাধিকার না দেওয়া হয়। ’’ ধাড়িওয়ালের মন্তব্যের বিরোধিতা করে বিরোধী দলনেতা গুলাবচন্দ কাটারিয়া জানান, সংসদে পাশ হওয়া কেন্দ্রের এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করার কোনও অধিকারই রাজস্থান সরকারের নেই। রাজ্য বিজেপির প্রধান সতীশ পুনিয়া বিতর্কে অংশ নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘এর আগে গাঁধীজি এবং ইন্দিরা গাঁধীও পাকিস্তানে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিয়েছেন।’’
আরও পড়ুন: ধর্মের বিভাজন থেকে কি সত্যি মুক্ত রাখার চেষ্টা হয়েছিল সংবিধানকে? প্রশ্ন জয়পুরে
কিরণ মাহেশ্বরী, বাসুদেব দেবনানীর মতো বিজেপি নেতা-নেত্রীদের বক্তব্য, সংখ্যালঘুদের উপরে লাগাতার অত্যাচারের জন্যই বাংলাদেশ, পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের মতো দেশে তাঁদের সংখ্যা এক লাফে অনেকটা কমে গিয়েছে। তবে রাজস্থান সরকারের তরফে ধাড়িওয়ালের প্রশ্ন, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, নেপাল, ভুটানের মতো দেশের উল্লেখ এই নয়া আইনে কেন করা হয়নি। ধাড়িওয়াল আজ সভায় আরও জানান, শুধু রাজস্থানই নয়, আইনের বিরোধিতা করে গোটা দেশের মানুষ গর্জে উঠেছেন। একই সঙ্গে এনপিআর-এর প্রশ্ন তালিকায় নয়া সংযোজনের বিরোধিতাও করা হয়েছে আজকের প্রস্তাবে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘এই আইন দেশের ধর্ম নিরপেক্ষ আবহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy