ছবি: এএফপি।
বৈধ টিকিট কেটেই বিমানে উঠেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিমান ছাড়ার কিছু ক্ষণ আগে মালপত্র সমেত নেমে যেতে হল ২৬ জন যাত্রীকে। উড়ান সংস্থার অনুরোধেই। আজ ভোরে দিল্লি বিমানবন্দরের এই ঘটনায় বিস্মিত অনেকেই।
এয়ার ফ্রান্সের ওই বিমানটি দিল্লি থেকে প্যারিস যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আচমকাই এক বিমানকর্মী ঘোষণা করেন, বিমানে কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ২৬ জন যাত্রী যদি স্বেচ্ছায় মালপত্র নিয়ে নেমে যান, তা হলে বিমানটির উড়তে সুবিধে হয়। ওই কর্মী আরও জানান, যাঁরা নামতে ইচ্ছুক, তাঁরা যেন অবিলম্বে বিমানকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এক যাত্রীর মোবাইলে তোলা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এর পরেই মোট ২৬ জন যাত্রী নিজে থেকেই বিমানটি থেকে নেমে যান। কিন্তু বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও ওই যাত্রীদের কেন নেমে যেতে হল, সেই প্রশ্নের সরাসরি জবাব এড়িয়ে গিয়েছে উড়ান সংস্থা। ওই ২৬ জন যাত্রী কী ভাবে প্যারিস পৌঁছবেন, তার ব্যবস্থা উড়ান সংস্থা করেছে কি না, সেটাও জানা যায়নি।
গোটা ঘটনা নিয়ে টুইটারে সরব হয়েছেন অনেকে। নেট-নাগরিকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি আসলে কী ছিল, তা নিয়ে এয়ার ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ কেন চুপ করে রয়েছেন। উড়ান বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ মনে করছেন, বিমানের আসনের তুলনায় অতিরিক্ত টিকিট বিক্রির চল রয়েছে সব আন্তর্জাতিক উড়ান সংস্থার। লাভের মুখ দেখতে অনেক সংস্থাই এটা করে থাকে। তারা ধরেই নেয়, যে কিছু যাত্রী টিকিট বাতিল করবেন, সেই জায়গায় অতিরিক্ত টিকিট যাঁরা কেটেছেন, তাঁদের আসন পাইয়ে দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। গত বছর বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েক জন যাত্রীকে বিমানে আসন দিতে না পারায় ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছিল এয়ার ফ্রান্স কর্তৃপক্ষকে।
অন্য একটি অংশের মতে, প্রয়োজনের তুলনায় মালপত্রের অতিরিক্ত ভারের কারণে বিমানটি ওড়ার অসুবিধে হচ্ছিল হয়তো। সে জন্যই মালপত্র নিয়ে ২৬ জনকে নেমে যেতে অনুরোধ করা হয়। গোটা ঘটনা নিয়ে এয়ার ফ্রান্স অবশ্য নীরব। তাদের তরফে আজকের ঘটনা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যাই দেওয়া হয়নি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy