রাজস্থান সঙ্কটের মধ্যেই সচিন পাইলট (বাঁ দিকে) ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বৈঠক ঘিরে জোর জল্পনা রাজনৈতিক শিবিরে। —ফাইল চিত্র
কয়েক মাস আগেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর এক তরুণ নেতা রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটও কি সেই পথেই হাঁটছেন? রাজনৈতিক শিবিরে এই জল্পনার মধ্যেই এ বার সেই জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গেই বৈঠক করলেন পাইলট। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় জ্যোতিরাদিত্যর দিল্লির বাসভবনে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে দু’জন বৈঠক করেছেন। এর পরেই পাইলটের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা আরও জোরদার হল।
রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত বনাম সচিন পাইলট সঙ্ঘাত শুরু হওয়ার পরেই দিল্লিতে এসে ঘাঁটি গেড়েছেন পাইলট। তাঁর সঙ্গে দলের ৩০ বিধায়ক রয়েছেন বলে দাবি করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন। সময় চেয়েছেন রাহুল গাঁধীর কাছেও। কিন্তু তার মধ্যেই রাজনৈতিক শিবিরে জোর জল্পনা ছিল যে, জ্যোতিরাদিত্যর মতো তিনিও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। যদিও সোমবার পাইলট নিজেই বলেছেন তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন না।
এই জল্পনা-গুঞ্জনের মধ্যেই সামনে এল জ্যোতিরাদিত্য-পাইলট বৈঠকের খবর। সর্বভারতীয় ওই সংবাদ মাধ্যমের দাবি, পাইলটের এক ঘনিষ্ঠ নেতা দু’জনের বৈঠকের কথা স্বীকারও করেছেন। তবে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি ওই পাইলটের অনুগামী ওই নেতা।
আরও পড়ুন: সনিয়া-রাহুল আলোচনায় রাজি, সচিনকে বার্তা সুরজেওয়ালার
আরও পড়ুন: রাজস্থানে টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝেই গহলৌতের ২ ঘনিষ্ঠের বাড়িতে আয়কর হানা
আবার গহলৌত-পাইলট সংঘাত শুরু হতেই পাইলটের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘খারাপ লাগছে যে, আমার প্রাক্তন সহকর্মী সচিন পাইলটকেও মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত কোণঠাসা করছেন। এর থেকেই প্রমাণ হয় যে যাঁদের প্রতিভা ও ক্ষমতা আছে, কংগ্রেসে তাঁদের কোনও মূল্য নেই।’’ জ্যোতিরাদিত্যর এই টুইট এবং তার পর দু’জনের বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy