রেনকোজি মন্দিরে রাখা চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষা চান নেতাজির মেয়ে অনিতা বসু পাফ।
সুভাষচন্দ্র বসু ও এমিলি শেঙ্কলের মেয়ে অনিতা মনে করেন, তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষচন্দ্রের মৃত্যুর সম্ভাবনাই সব চেয়ে বেশি। তবে তাঁর মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক মেটাতে টোকিওর রেনকোজি মন্দিরে রাখা চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। ওই চিতাভস্ম আদৌ নেতাজির নয় বলে দাবি অনেক শিবিরের। অনিতার মতে, ‘‘ডিএনএ পরীক্ষা হলে কিছু প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে। তবে হাড় যদি বেশি পুড়ে গিয়ে থাকে তা হলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব নাও হতে পারে।’’
চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষাকে স্বাগত জানাচ্ছেন নেতাজির পৌত্র সুগত বসুও। কিন্তু তাঁর মতে, ‘‘রেনকোজি মন্দিরে রাখা চিতাভস্ম আদৌ ডিএনএ পরীক্ষার যোগ্য কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’’ সুগতবাবুর কথায়, ‘‘ওই ভস্মের আধার জওহরলাল নেহরু, শিশিরকুমার বসু ও মনোজ মুখোপাধ্যায় কমিশনের উপস্থিতিতে তিন বার খোলা হয়েছিল। মনোজ মুখোপাধ্যায় কমিশন আধার থেকে চিতাভস্ম বের করে পরীক্ষাও করে। তার ফলেও ভস্মের গুণমান কমে গিয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে।’’ সুগতবাবুর মতে, তিনি নিজে যা তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন তাতে ব্যক্তিগত ভাবে তাইহোকু দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু নিয়ে তাঁর কোনও সন্দেহ নেই। তবে ডিএনএ পরীক্ষায় আরও নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁর আপত্তি নেই। সুগতবাবুর মতে, ‘‘অনেকে অবশ্য যুক্তির চেয়ে আবেগকে বেশি গুরুত্ব দেন। তাঁরা ডিএনএ পরীক্ষার ফলকেও হয়তো গুরুত্ব দেবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy