এক দশক আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ খুইয়ে, ভোটে হেরে রাজনৈতিক সন্ন্যাসেই চলে গিয়েছিলেন জোরামথাঙ্গা।
এক সময় পাকিস্তানি কম্যান্ডো বাহিনীর সঙ্গীর হাতেই এ বার মিজোরামের শাসনভার! ভারতীয় বাহিনীর হাত থেকে পালিয়ে আরাকানের জঙ্গল ধরে তাঁর রোমহর্ষক পলায়নপর্ব নিয়ে চলচ্চিত্র হতে পারে বলেই তাঁর দাবি। চিনা অস্ত্র নিয়ে বিশ বছর ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে আজ জোরামথাঙ্গা মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী।
এক দশক আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ খুইয়ে, ভোটে হেরে রাজনৈতিক সন্ন্যাসেই চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেই অবসরে লিখে ফেলেছেন নিজের আত্মজীবনী ‘মিলারি’। মিজো ভাষায় যার অর্থ— ‘মিজোরাম, ভগবানের বন্দোবস্ত আর আমি’। কংগ্রেসকে শোচনীয় ভাবে হারিয়ে ৭৪ বছরের জোরামথাঙ্গার মুখে আজ সেই কথাই, ‘‘মিজোরাম গঠনের জন্য লড়াই থেকে শুরু করে এই যে তৃতীয়বারের জন্য শাসন ক্ষমতায় ফেরত এলাম, তা তো ঈশ্বরেরই বন্দোবস্ত।’’
আজ মুখ্যমন্ত্রী পদে লাল থানহাওলার ইস্তফার পরেই রাজ্যপাল কে রাজাশেখরণের কাছে সরকার গড়ার দাবি জানিয়ে হাজির হন জোরাম। এক সময়ের গেরিলা জঙ্গি নেতা জোরাম এই নিয়ে তিন বার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। ৪০ আসনের বিধানসভার ২৬ সদস্যকে নিয়ে একাই সরকার গড়বেন। জোরাম বলেন, ‘‘নেডা জোট ও এনডিএর শরিক আছি। থাকবও।’’
জোরামের মতে, কংগ্রেসের পরাজয়ের কারণ তিনটি। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তাঁর প্রথম কাজ হবে, সেই তিন ত্রুটি মেরামত করা। প্রথমত, গির্জা ও জনতার সিংহভাগের দাবি মেনে রাজ্যে ফের মদ নিষিদ্ধ করবেন তিনি। দ্বিতীয় কাজ, রাস্তাঘাট দ্রুত মেরামত করা। তৃতীয় কাজ, এমএনএফ আমলের ‘সোশ্যাল ইকনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ ফের চালু করা।
এত কাজের চাপে মিজো ভাষায় লেখা দু’খণ্ড আত্মজীবনী ইংরাজিতে অনুবাদের কাজ চলছে। তবে তা খানিকটা ঢিমেতালে হবে বলেই তাঁর আশঙ্কা। অবশ্য বইয়ে তাঁর জঙ্গি জীবন, পাকিস্তান ও চিনের সাহচর্য প্রসঙ্গ মিজোরামের আজকের মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে বেশ বিতর্কিত হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিভিন্ন সূত্রের অভিমত। তবে বিতর্কের আশঙ্কা উড়িয়ে জোরামের মতে, তাঁর বইয়ে যা রয়েছে, তা ধরা বলিউডের মুরোদে কুলোবে না। ইংরাজি বই প্রকাশের পরে হলিউড চে গেভারার ধাঁচে ছবি করতে চাইলে তিনি রাজি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy