করিমগঞ্জ ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে উদ্যোগ নিল বাংলাদেশের সিলেট এবং করিমগঞ্জের আমদানি-রফতানি সংস্থা।
করিমগঞ্জের নিউ মার্কেটে আজ যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ব্যবসায়ের ভিত জোরদার করার কথা উল্লেখ করেন সিলেট কয়লা আমদানি সংস্থার সভাপতি এমদাদ হুসেন ও সম্পাদক চন্দন সাহা। তাঁরা জানান, করিমগঞ্জ এবং সিলেটের মধ্যে ভাষাগত কোনও বিভেদ নেই। করিমগঞ্জের সুতারকান্দি বন্দর দিয়ে ব্যবসা করতে আগ্রহী সিলেট কয়লা আমদানি সংস্থা। তাঁদের বক্তব্য, করিমগঞ্জের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের দিকে তাকিয়ে তাঁরা এখান থেকে বেশি দামে কয়লা কিনছেন। গত বছর টনপ্রতি ৮৫ ডলার দিয়ে করিমগঞ্জ থেকে কয়লা কিনেছেন। এ বার নিচ্ছেন ৬৫ ডলারে। কিন্তু চিন বা মায়ানমার থেকে টনপ্রতি ৫০-৬০ ডলারে কয়লা কেনা সম্ভব। করিমগঞ্জের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক অটুট রাখতেই এই পথে এগোচ্ছেন বাংলাদেশের কয়লা আমদানি সংস্থারা। পড়শি দেশের ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের আলু, ইলিশ মাছ ভারতে নিয়ে আসা যায়। কিন্তু বরাক উপত্যকার একটি চক্র বাধা দিচ্ছে।
করিমগঞ্জ জেলা আমদানি-রফতানি সংস্থার সভাপতি অমরেশ রায় জানান, করিমগঞ্জ দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করার যে সুযোগ রয়েছে তা কার্যত ভারতের অনেক জায়গায় নেই। করিমগঞ্জের সুতারকান্দিতে স্থলবন্দর, কালীবাড়িঘাটে নদীবন্দর রয়েছে। মহিশাসনে আগে দু’দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ ছিল। কিন্তু লালফিতের ফাঁসে সে সব আটকে রয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে দেবর্ষি ভট্টাচার্য, আব্দুল শাহিদ চৌধুরী, অজয়
দেব, রাজু চক্রবর্তী, হারুন রশিদ, পিন্টু চক্রবর্তী, বাবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy