লাশ হয়ে যাওয়া মানুষের জন্য আবার অত কী ভাবার আছে! যে ভাবে ইচ্ছে লাশ বয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। সে দিন দেখিয়েছিল ওড়িশার বালেশ্বর। বইতে সুবিধে হবে বলে বৃদ্ধার দেহ কোমর থেকে ভেঙে দু’ভাঁজ করে লাঠিতে বেঁধে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ বার বিহারের বৈশালী। মৃতদেহের গলায় দড়ি বেঁধে রাস্তা দিয়ে কয়েকশো মিটার টানতে টানতে নিয়ে গেল পুলিশ।
বিহারের বৈশালী গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে চলা গঙ্গায় স্নান করতে গিয়েছিলেন গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা। নদীর পাড়ে গিয়ে চোখে পড়ে একটি মৃতদেহ নদীর জলে ভাসছে। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশের কাছে। কিন্তু প্রায় দু’ঘণ্টা পর বিহার পুলিশের কয়েকজন কর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয় বলে অভিযোগ।
জলে তখনও ভাসছে মৃতদেহটি। কোনও মতে শবদেহ’র গলায় দড়ি বেঁধে নদী থেকে দেহটি পাড়ে তুলে নিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা। নদীর পাড়ে ততক্ষণে লাশ দেখতে ভিড় জমিয়েছেন প্রচুর গ্রামবাসী। লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশকর্মীরা অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে গিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তা রাখা ছিল নদী থেকে প্রায় কয়েকশো মিটার দূরে। উপস্থিত সবাইকে বিস্মিত করে নদীর পাড় থেকে লাশটি গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় টেনে-হিঁচড়েই অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত নিয়ে গেলেন বিহার পুলিশের কয়েকজন কর্মী।
ঘটনাটির ভিডিওটি মোবাইলে বন্দি করেছিলেন ঘটনাস্থলে হাজির থাকা কয়েকজন। এই অমানবিক ঘটনার ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সমালোচনার মুখে পড়েছে বিহার পুলিশ। নড়েচড়ে বসেছেন বিহারের উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারা। চাপের মুখে পড়ে ঘটনায় জড়িত দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে।
দেখুন সেই ভি়ডিও
এই প্রথম নয়। বেশ কয়েকবছর আগে এই বৈশালী গ্রামেই ক্ষুব্ধ জনতার হাতে প্রহৃত হয়ে মারা গিয়েছিলেন ১০ জন। সে সময়ও তাঁদের দেহ রাস্তা দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ফের ওড়িশা! কোমর ভেঙে দিয়ে দুমড়ে বাঁশে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হল দেহ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy