সাধ্বী প্রজ্ঞা।
দশ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমিক বলায় ভোপালের সাংসদ প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, সে সম্পর্কে নীরব বিজেপি।
মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে ‘দেশপ্রেমিক’ হিসেবে তুলে ধরে প্রজ্ঞা ঠাকুরের মন্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে ঝড় উঠেছিল। ভোটের মুখে প্রজ্ঞার সেই বক্তব্যের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করে বিজেপি। চাপের মধ্যে দুঃখপ্রকাশ করেন প্রজ্ঞাও। নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘উনি ক্ষমা চেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু বাপুজিকে অপমান করার জন্য আমি কোনও দিন সাধ্বী প্রজ্ঞাকে ক্ষমা করতে পারব না।’’ গত ১৬ মে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ টুইট করে বলেন, ‘‘গত দু’দিনে অনন্তকুমার হেগড়ে, সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর, নলীন কটিলরা যে সব কথা বলেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ বিজেপি সভাপতি জানিয়েছিলেন, বিজেপির শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ওই তিন নেতা-নেত্রীর বক্তব্য জানবে। দশ দিনের মধ্যে সেই রিপোর্ট দলকে দেবে। পরের দিন বিজেপির সদর দফতরে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকেও একই কথা বলেন অমিত।
দশ দিনের সময়সীমা অবশ্য ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রজ্ঞাকে ঘিরে বিজেপি নেতাদের মধ্যে এখন এক শুধুই নীরবতা। দলের মধ্যপ্রদেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। দলকে প্রজ্ঞা নিজে কী জবাব দিয়েছেন, তা-ও জানা যায়নি। বিজেপির শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন সত্যদেব সিংহ ও বিজয়া চক্রবর্তী। তাঁদের বক্তব্যও জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy