ফাইল চিত্র
বিধানসভা নির্বাচনের মুখে দাঁড়ানো দুই রাজ্য মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগড়ে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর সঙ্গে জোট গড়ার কাজে অনেকটাই এগিয়েছে কংগ্রেস। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, বড় কোনও পরিবর্তন না হলে শীঘ্রই এই দুই রাজ্যে আসন সমঝোতা হয়ে যাবে। তার পর লোকসভা ভোটের জন্য কোন কোন রাজ্যে বিএসপি-র সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা যায়, তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করবে রাহুল গাঁধীর দল।
তবে লোকসভায় জাতীয় স্তরে বিএসপি-র সঙ্গে জোট গড়তে আগ্রহী নন রাহুল। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, ‘‘যে রাজ্যে যে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী সেই রাজ্যে তার সঙ্গে জোট গড়াই বুদ্ধিমানের কাজ। বিএসপি-র সঙ্গে জাতীয় স্তরে জোট তৈরি করলে কংগ্রেসের কোনও লাভ নেই।’’ মায়াবতী জানিয়েছেন, তিনি সম্মানজনক আসন পাওয়ার শর্তে কংগ্রেসের সঙ্গে আঞ্চলিক স্তরে জোট করতে রাজি।
গত মাসেই মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কমল নাথ জানিয়েছিলেন, বিরোধী ভোট যাতে ভাগ না হয় তার জন্য মায়াবতীর সঙ্গে রাজ্যভিত্তিক আসন সমঝোতার আলোচনা শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগড়ের মতো রাজ্যে দলিত নেত্রীকে সঙ্গে পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাহুল। মধ্যপ্রদেশে ১৫ শতাংশ দলিত ভোট রয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যের ২৩০টি আসনের মধ্যে ২২৭টিতে লড়াই করেছিলেন মায়াবতী। আসন পেয়েছিলেন যদিও ৪টি, কিন্তু তাঁর ঝুলিতে এসেছিল ৬.২৯ শতাংশ ভোট। পরস্পর পরস্পরের পাশে দাঁড়ালে দলিত ভোটের একটা বড় অংশই দখলে রাখা যাবে বলে মনে করছে কংগ্রেস। কারণ উত্তর মধ্যপ্রদেশে বিএসপির যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
পাশাপাশি ছত্তীসগড়ের কংগ্রেস নেতা পি এল পুনিয়া গত বুধবার জানিয়েছেন, মায়াবতীর সঙ্গে তাঁদেরও জোট আলোচনা প্রায় শেষের মুখে। শীঘ্রই আসন সমঝোতার কথা ঘোষণা করা হবে। আদিবাসী অধ্যুষিত এই রাজ্যে দলিত ভোট রয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। এখানকার মোট ৯০টি আসনের মধ্যে মায়াবতীকে ৯টি আসন দেওয়ার কথা আপাতত ভাবছে কংগ্রেস। এই রাজ্যে মায়াবতীর প্রায় ৫ শতাংশ ভোট রয়েছে। বিএসপি-র প্রতিষ্ঠাতা কাঁসিরাম প্রথম বার লোকসভায় লড়েছিলেন ছত্তীসগড়ের জনজির-চম্পা কেন্দ্র থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy