স্থানান্তর: পোস্ট অফিস চৌমহনী থেকে সরানো হচ্ছে ট্যাঙ্ক। —নিজস্ব চিত্র।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে আটক করা ট্যাঙ্ক ও কামান আগরতলার প্রাণকেন্দ্র পোস্ট অফিস চৌমহনী থেকে সরানো নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে বিপ্লব দেব সরকার।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে রণাঙ্গনের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল আগরতলা। নিহত ভারতীয় সেনাদের স্মৃতিতে তৈরি চৌমহনীতে তৈরি হয় স্মৃতিসৌধ। সেখানেই রাখা আছে পাক সেনার কাছ থেকে আটক করা ট্যাঙ্ক ও কামান।
কিন্তু বিজেপি সরকার ‘স্মার্ট সিটি’ তৈরির জন্য ওই স্মৃতিসৌধ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। গত কাল হঠাৎই সরিয়ে নেওয়া হয় ট্যাঙ্ক ও কামান। মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা-সহ নানা শিবিরের তরফে এই পদক্ষেপের সমালোচনা করা হয়। তাদের মতে, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন দেখতে আসেন তাঁদের কাছে এই সৌধ এক ঐতিহাসিক কেন্দ্র ছিল।
আরও পড়ুন: কম আসন নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী, নীতীশ কি বিজেপি-র চক্রব্যূহে অভিমন্যু
আরও পড়ুন: জাতের অঙ্কেই নয়া মন্ত্রিসভা বিহারে, প্রাধান্য পিছড়ে বর্গের
তারই মধ্যে বিতর্ক বাড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য। বিপ্লববাবুর দাবি, এত দিন ওই ট্যাঙ্ক ও কামানের কাছে দাঁড়িয়ে কেউ নিজস্বী তুলতে পারতেন না। তাই নিজস্বী তোলা যায় এমন জায়গায় সেগুলিকে সরানো হয়েছে। প্রশ্ন উঠৈছে, কেবল নিজস্বী তোলার জন্য কি ওই স্মৃতিচিহ্ন সরানোর প্রয়োজন ছিল?
তবে ‘স্মার্ট সিটি’-র মুখ্য আধিকারিক শৈলেশকুমার যাদব এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যানজটের সমস্যা মেটাতে ট্যাঙ্ক ও কামান সরানো হয়েছে। ভারতীয় সেনা ও রাজ্য সৈনিক বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে সেগুলিকে শহরতলিতে সেনাদের স্মৃতিতে তৈরি পার্কে রেখেছে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy