অন্য রূপে: তেজসের সামনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে। পিটিআই
পরনে জলপাই রঙের যুদ্ধবিমান চালকের পোশাক। হাতে হেলমেট আর চোখে সানগ্লাস। আজ এই সাজেই পুরোপুরি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমান ‘তেজস’-এ উড়লেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানটি এ দিন সকালে বেঙ্গালুরুর হিন্দুস্থান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (হ্যাল) বিমানবন্দর থেকে ওড়ে। বিমানে রাজনাথের সঙ্গে ছিলেন এয়ার ভাইস মার্শাল এন তিওয়ারি। আধঘণ্টার ওই সফরকে ‘দারুণ ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন রাজনাথ। সফরে মিনিট দু’য়েকের জন্য বিমানের নিয়ন্ত্রণ ছিল ৬৮ বছরের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হাতে। রাজনাথ বলেন, ‘‘এয়ার ভাইস মার্শালের নির্দেশ পালন করেছি। বিমান চালাতে কোনও অসুবিধা হয়নি।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বলেই এই বিমান ওড়াতে চেয়েছিলাম। যে পরিস্থিতিতে আমাদের চালকেরা বিমান চালান তা জানতে চেয়েছিলাম। বিমানযাত্রা বেশ আরামের ছিল। এটি আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে রইল।’’
ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হাল্কা ওজনের, ‘মাল্টি রোল সুপারসনিক’ যুদ্ধবিমান তেজস নানা ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম। প্রাথমিক ভাবে হ্যালকে ৪০টি তেজসের বরাত দিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। গত বছর তারা ফের ৮৩টি তেজস কেনার জন্য হ্যালকে বরাত দিয়েছে।
তেজস প্রসঙ্গে উচ্ছ্বসিত রাজনাথ এ দিন টুইট করে প্রস্তুতকারী সংস্থা হ্যাল, ডিআরডিও, এডিএ-এর বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানান। তাঁর মতে, এই মুহূর্তে অন্য দেশে তেজস রফতানি করতে তৈরি ভারত। বহু দেশ বিশেষ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি তেজস কিনতে চাইছে। গত সপ্তাহেই গোয়ায় সফল ভাবে ‘অ্যারেস্ট ল্যান্ডিং’ করেছে তেজস। এই পদক্ষেপকে বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রশংসা করেছে মার্কিন এরোস্পেস সংস্থা লকহিড মার্টিন। ভারতীয় নৌবাহিনীর এই ধরনের যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত প্রকল্পে যৌথ ভাবে কাজের ইচ্ছেও প্রকাশ করেছে তারা।
আজই আবার পরবর্তী বায়ুসেনা প্রধান হিসেবে এয়ার মার্শাল আরকেএস ভাদৌরিয়ার নাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy