ছবি প্রতীকী।
সমকামিতা কোনও ব্যাধি নয়। তা ব্যক্তির একান্ত ব্যক্তিগত পছন্দ। সেই পছন্দকে মান্যতা দিতে এ বছর সুপ্রিম কোর্ট ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারাকে অবলুপ্ত করেছে। কিন্তু তাতে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি কি বদলেছে? খোদ রাজধানীর বুকে সম্পতি ঘটে যাওয়া এক ঘটনা সেই প্রশ্নকে আবার সামনে নিয়ে এল। সমকামীদের চিকিত্সার জন্য ‘ইলেকট্রিক শক’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে।
ডা পিকে গুপ্তা দিল্লির করোলবাগে একটি সুপার স্পেশ্যালিটি ক্লিনিক চালান। সেখানে ১৫ মিনিটের কাউন্সেলিং করার জন্য নেন সাড়ে ৪ হাজার টাকা। কাউন্সেলিংয়ের নামে গে-লেসবিয়ানদের চিকিত্সার জন্য তিনি ইলেকট্রিক শক ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। কারণ তাঁর বিশ্বাস সমকামিতা হল ‘জেনেটিক মেন্টাল ডিসঅর্ডার’।
দিল্লি মেডিক্যাল কাউন্সিল অনেকদিন আগেই এ ধরণের চিকিত্সার উপর বিধি নিষেধ আরোপ করেছিল। তা সত্ত্বেও কাউন্সিলের দেখানো সেই পথনির্দেশ মেনে চলেননি ওই চিকিত্সক। সে জন্য দিল্লির আদালতে কাউন্সিলের তরফে ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই ডাক্তারকে সমন পাঠিয়েছে আদালত। এর আগে ২০১৬ সালেও এই ধরনের ‘প্রাকটিস’ চালানোর জন্য তাঁকে সতর্ক করেছিল কাউন্সিল।
আরও পড়ুন: ১০০ কেজি ওজন কমিয়ে সুস্থ দিল্লির ১৪ বছরের মিহির
ডাক্তার গুপ্তার এই ‘কনভারসন থেরাপি’-র’ প্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অভিলাষ মালহোত্রা বলেছেন, ‘‘আইনসভার বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টি অনুসারে কোনও মানুষের যৌন পছন্দ কোনওদিন মানসিক অসুস্থতা হতে পারে না। তাই ‘কনভারসন থেরাপি’-র নামে যে চিকিত্সা করা হচ্ছে তাতে চিকিত্সা পদ্ধতি ও আইনসভার কোনও রকম অনুমোদন নেই।’’
তাই খোদ দিল্লির বুকে এ ধরনের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, সমকামিতা নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি কি সত্যিই পাল্টেছে?
আরও পড়ুন: মোদীর উপর রাম-চাপ! রাজধানীতে ভিএইচপির সভায় সুর চড়াল সঙ্ঘও
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy