ফাইল চিত্র।
পেট্রল, ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না দিল্লি হাইকোর্ট। একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আজ বলেছে, এর সঙ্গে বৃহত্তর অর্থনৈতিক দিক জুড়ে রয়েছে। ফলে বিষয়টি থেকে দূরে থাকতে চাইছে তারা।
দিল্লির বাসিন্দা পূজা মহাজন আদালতে আর্জি জানিয়ে বলেছিলেন, নিয়মিত ভাবে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। আর এ ব্যাপারে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়াতেই এই পদক্ষেপ করতে হচ্ছে। অথচ বিশ্ব বাজারে দাম কমলে সেই অনুযায়ী পেট্রল, ডিজেলের দাম কমানো হচ্ছে না। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেন্দ্র মেনন ও বিচারপতি ভি কে রাওয়ের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করবেন না তাঁরা। কারণ, ‘‘এটা সরকারের আর্থিক নীতির প্রশ্ন। এর সঙ্গে বৃহত্তর অর্থনৈতিক দিক জুড়ে রয়েছে।’’
আবেদনকারীর বক্তব্য ছিল, পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে তেল কোম্পানিগুলিকে পরোক্ষে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে কেন্দ্র। সরকারের ইচ্ছে, মর্জির উপরেই দাম ঠিক করার বিষয়টি নির্ভর করে থাকে। তাই কর্নাটকের ভোটের সময়ে ২২ দিন পেট্রল, ডিজেলের দামে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। বিচারপতিরা বলেন, ‘‘সরকার পদক্ষেপ করতেই পারে। আমরা এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেব না।’’ আবেদনকারীর আর্জি ছিল, পেট্রল, ডিজেলকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মর্যাদা দিয়ে ন্যায্যমূল্যে তা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিক আদালত। এই প্রসঙ্গে অবশ্য কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে হবে। আগামী ১৬ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন রাখা হয়েছে। আবেদনকারীর বক্তব্য ছিল, গত জুলাইয়ে তিনি একই ধরনের আর্জি নিয়ে আদালতে এসেছিলেন। তখনই কেন্দ্রকে ওই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল আদালত। কিন্তু কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করেনি। তার পরেই ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy