ছবি: সংগৃহীত
প্রথমে শুধু মাত্র ডিজিটাল প্রচারের অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবা হলেও বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে সশরীরে প্রচারের অনুমতিও দেওয়া হতে পারে। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে সার্বিক নির্দেশিকা জারি করবে।
অধিকাংশ রাজনৈতিক দলেরই আপত্তি ছিল, করোনা অতিমারির কথা ভেবে শুধু মাত্র ডিজিটাল প্রচারের অনুমতি দেওয়া হলে সব রাজনৈতিক দল সমান ভাবে মানুষের কাছে পৌঁছনোর সুযোগ পাবে না। এর জন্য বিপুল অর্থ খরচ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনে মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে বৈঠক হয়। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অধিকারিকদের মতামতও খতিয়ে দেখা হয়। কমিশন জানিয়েছে, সব রকম মতামত খতিয়ে দেখার পরে তিন দিনের মধ্যে সার্বিক নির্দেশিকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নির্দেশিকা মেনে কেউ ডিজিটাল প্রচার চালালে তাতে বাধা থাকবে না বলেই সূত্রের খবর।
বিহারের ন'টি রাজনৈতিক দল সম্মিলিত ভাবে শুধু মাত্র ডিজিটাল প্রচারের ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। আরজেডি-ও এ বিষয়ে কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছে। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির আশঙ্কা, বিজেপি ডিজিটাল প্রচার চালালেও তার খরচ ভোটের খরচের মধ্যে দেখাবে না। নির্বাচনী খরচে কমিশনের বেঁধে দেওয়া ঊর্ধ্বসীমা মানবে না বিজেপি।
আজ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে এ বিষয়ে চিঠি লিখেছেন। ডিজিটাল প্রচারের অপব্যবহারের দিকে আঙুল তুলে তাঁর প্রশ্ন, লোকসভা ভোটের মাঝখানে আচমকাই যে নমো টিভি-র উদয় ঘটেছিল, সেই প্রচারের খরচ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছে কি না। তাঁর যুক্তি, কমিশন নিজেই মেনে নিয়েছিল, ওই চ্যানেলের খরচ বিজেপি জোগাচ্ছিল। এখন সেই চ্যানেল রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সেই চ্যানেল চালানোর খরচ নির্বাচনী খরচের মধ্যে দেখায়নি।
বিহারে বিধানসভার মেয়াদ ২৯ নভেম্বর শেষ হচ্ছে। অক্টোবর-নভেম্বরে ভোট হওয়ার কথা। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে। করোনা অতিমারির জন্য তা স্থগিত রয়েছে। বিহারের ভোট কী ভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক নেতারাও দেখে নিতে চাইছেন। কারণ বিহারের ভোটের পরেই ২০২১-এর প্রথমার্ধে বাংলার নির্বাচন। ভোটমুখী রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, ভোটের আয়োজনের সময়
কোভিড মোকাবিলার পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy