এমন ভাবেই আত্মহত্যা করতে হয়! আত্মহত্যার করার সেই কায়দা শুট করে ফেসবুক লাইভ করলেন। আর তার পরেই হোটেলের ২০ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর এক ছাত্র। সুইসাইড নোটে অর্জুন জানিয়েছেন, ডিপ্রেশনের কারণেই এই পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।
মুম্বইয়ের ওই হোটেলের এক কর্মী জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে একটি ঘর বুক করেছিলেন অর্জুন ভরদ্বাজ নামের বছর তেইশের ওই যুবক। ঘটনার আগে তিনি পাস্তার অর্ডারও দেন। পুলিশ জানিয়েছে, অর্জুনের বাড়ি বেঙ্গালুরুতে। পড়াশোনার জন্য মুম্বইয়ে থাকতেন। ওই দিন বান্দ্রার একটি হোটেলে ঘর নেন তিনি। সন্ধে ৬.২০ নাগাদ হোটেলের এক নিরপত্তারক্ষী কিছু পড়ার আওয়াজ পান। গিয়ে দেখেন এক যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় হোটেল চত্বরে পড়ে রয়েছেন। উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় ঝাঁপ দেওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে ফএসবুক লাইভ করেন অর্জুন। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমি মাদকাসক্ত। বাঁচার কোনও ইচ্ছে নেই। তাই পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছি।” প্রাথমিক ভাবে, পুলিশের অনুমান ডিপ্রেশনের শিকার হয়েই আত্মহত্যা করেছেন অর্জুন। তবে তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ওড়িশার জগন্নাথ মন্দিরে নাবালিকাকে ধর্ষণ
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানায়, হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখান থেকে জানা যেতে পারে অর্জুনের সঙ্গে সে দিন কেউ দেখা করতে এসেছিলেন কি না। হোটেলের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছে পুলিশ। সেখানে আত্মহননের সিদ্ধান্তের জন্য বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন ভিলে পার্লে কলেজের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্র।
অর্জুনের বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, সোমবার তিনিও মুম্বইতেই ছিলেন। তবে ছেলের সঙ্গে দেখা হয়নি। দিন ছয়েক আগে দেখা হয়েছিল। সেই সময় অর্জুনকে দেখে একেবারেই হতাশ মনে হয়নি। যদিও অর্জুনের এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, গত দু’সপ্তাহ ধরে গভীর আবসাদে ভুগছিলেন অর্জুন। বন্ধুকে বলেছিলেন, তিনি কোনও কাজের নন। অর্জুনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy