প্রতীকী ছবি।
শ্যালিকার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। তার জেরে স্ত্রীকে খুন করতে ডাকাতির নাটক করলেন গাজিয়াবাদের এক যুবক। সুপারি কিলার দিয়ে খুন করালেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে আপাতত শ্রীঘরে সেই যুবক। গ্রেফতার হয়েছে ভাড়াটে খুনি এবং দুই হাতুড়ে চিকিৎসক। পুলিশ জানিয়েছে, খুন এবং গোটা পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন আসিফ নামে ওই যুবক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ থেকে ১২ জানুয়ারির মধ্যে গোটা ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লোনি থানা এলাকার নেওয়াতি চকের বেহতা হাজিপুর এলাকায়। তদন্তে নেমে প্রায় ১০০টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। এর পর আসিফকে গ্রেফতার করা হয়। গাজিয়াবাদের এসএসপি কলানিধি নইথানি বলেন, ‘‘আসিফ স্বীকার করেছে, শ্যালিকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণেই তিনি স্ত্রী সামরিনকে খুন করেছেন।’’
কিন্তু এটাই প্রথম নয়। আগেও অন্তত দু’বার স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন আসিফ। পুলিশের দাবি, তিনি নিজেই জানিয়েছেন, দুই হাতুড়ে ডাক্তারকে ওষুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন। তার জন্য দু’জনকে ৩০ হাজার টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনা কার্যকর না হওয়ায় ওই হাতুড়ে চিকিৎসকরাই ভাড়াটে খুনির সন্ধান দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, আসিফ তদন্তকারী অফিসারদের জানিয়েছেন, ওই সুপারি কিলার দিয়ে স্ত্রীকে খুন করতে ডাকাতি ও পণবন্দি করার নাটক সাজান তিনি। সেই মতো, ঘটনার দিন ওই ভাড়াটে খুনি আসিফের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে পণবন্দি করে। তার পর গলা টিপে খুন করে সামরিনকে।
আসিফ বলেন, আমি নিজেকেও পণবন্দি করিয়েছিলাম, যাতে আমার বড় ছেলে এবং শ্যালক সত্যি ডাকাতির ঘটনা মনে করে। আসিফের তিন ছেলে মেয়ে। বড় ছেলে আতিফের বয়স ১২, মেয়ে নমিরা সাত বছরের এবং ছোট ছেলে তৈমুরের বয়স এক বছর। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর আসিফ পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছে, তাঁর সন্তানদের দেখভালের দায়িত্ব যেন শ্যালিকাকেই দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আসিফের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুন এবং ১২০বি ধারায় ফৌজদারি অপরাধের ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু হয়েছে। দুই হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু হয়েছে। তবে ভাড়াটে খুনির দুই সঙ্গী এখনও পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy