‘হারিয়ে’ গিয়েও উদ্ধার হয়েছিল বর্ণিকা কাণ্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রমাণ। যে রাস্তা দিয়ে বর্ণিকা কুণ্ডুর গাড়িকে ধাওয়া করেছিল হরিয়ানার বিজেপি সভাপতি সুভাষ বরালার ছেলে বিকাশের এসইউভি, সেই পাঁচ রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার হয়েছিল গতকালই। সেই ফুটেজ হাতে পাওয়ার পর এ বার পুলিশ জানাচ্ছে, সত্যিই তাড়া করা হয়েছিল বর্ণিকাকে।
বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে বিকাশকে। সকালেই সমন পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে টালবাহানা করলেও অবশেষে পুলিশের কাছে হাজিরা দেননি তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকাশ এবং আরও এক অভিযুক্ত আশিস কুমারকে নারী অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। চণ্ডীগড়ের পুলিশ প্রধান তেজিন্দর লুথরা জানিয়েছেন, অভিযোগের স্বপক্ষে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ তাঁদের হাতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ণিকা-কাণ্ডে মুখ পুড়ছে বিজেপির, সংসদে বিবৃতি দেবেন রাজনাথ
গত শুক্রবার রাতে চণ্ডীগড়ের আইএএস অফিসার বীরেন্দ্র কুণ্ডুর মেয়ে বর্ণিকা কুণ্ডুকে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ধাওয়া করা, উত্যক্ত করা ও কটূক্তির অভিযোগ ওঠে সুভাষ বরালার ছেলে বিকাশ এবং তাঁর বন্ধু আশিস কুমারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে প্রথমেই গ্রেফতার করা হয় ওই দুই যুবককে। কিন্তু গ্রেফতারির কিছু ক্ষণের মধ্যেই জামিনে মুক্তি পান তাঁরা। সেই সময়ই প্রশ্ন ওঠে প্রভাবশালী তত্ত্ব নিয়ে। কেন জামিন আযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হল না? কেনই বা অপহরণের অভিযোগ আনা হল না, তা নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ‘কোথায় যাব, কী করব, সেটা আমার ভাবার বিষয়’
আরও পড়ুন: ‘কেন রাতে একা ঘোরার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল?’
বর্ণিকা কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলে বিপাকে পড়তে হয়েছে বিজেপিকেও। সুভাষ বরালাকে বহিষ্কার করার দাবিও উঠেছিল। মুখে কুলুপ আঁটায় প্রথমে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজনাথ সিংহকেও। অন্য দিকে, গোটা ঘটনার জন্যই বর্ণিকাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি-র সহ-সভাপতি রামবীর ভাট্টি। রাত বারোটার পর মেয়েদের বাড়ির বাইরে থাকা উচিত নয় বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ভাট্টি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy