গত এক সপ্তাহের সাফাই-কর্মী ধর্মঘটে নাভিশ্বাস উঠেছে পাহাড়ি শহর হাফলঙের। চার দিকে জঞ্জালের স্তূপ। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। শহরবাসী রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত। গত এক বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না হাফলং টাউন কমিটির সাফাই কর্মীরা। বহু আবেদন-নিবেদনেও কাজ না হওয়ায় পুজোর আগে কর্মবিরতি আন্দোলনে নেমেছেন কর্মীরা। অনির্দিষ্ট কালের এই ধর্মঘটের প্রথম সাত দিনেই জেরবার হাফলঙবাসী।
টাউন কমিটির প্রধান অনিল দাওলাগাপু সামগ্রিক পরিস্থিতির জন্য পরোক্ষে সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, টাউন কমিটির আয়ের প্রধান উৎস হল সরকারি অফিস ভবনগুলি থেকে আদায় করা কর। কিন্তু সেই করই মিটিয়ে দিচ্ছে না সরকারি দফতরগুলি। দীর্ঘ দিন ধরে তা বকেয়া পড়ে আছে। অমিলবাবু জানান, সরকারি দফতরগুলিকে টাউন কমিটি কর্তৃপক্ষ অনেকবার কর মিটিয়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে। তারপরেও তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শুধু জেলাশাসকের অফিসের কাছেই ২০০৯ সাল থেকে বকেয়া কর বাবদ হাফলং টাউন কমিটি ৪৮ লাখ টাকা পাবে। একই ভাবে পুলিশ বিভাগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি অফিসে টাউন কমিটির কয়েক কোটি টাকা কর বকেয়া পড়ে আছে।
টাউন কমিটির চেয়ারম্যান অনিল দাওলাগাপুর বক্তব্য, সাফাই কর্মীদের বকেয়া বেতন দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, জেলাশাসক ও এসপি অফিসের কাছে যে পরিমাণ কর বকেয়া আছে, তা আদায় হলেই বেতনের টাকা নিয়ে ভাবতে হত না। বিষয়টি নিয়ে তিনি ফের উদ্যোগী হয়েছেন বলে অনিলবাবু জানান।
এ দিকে, শহরের নোংরা পরিস্থিতির ফলে বাধ্য হয়েই আজ সকালে হাফলং শহরের বাসিন্দা ও শহরের ব্যবসায়ীরা তাঁদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে পুরো শহর জুড়ে সাফাই অভিযান শুরু করেছেন। তাতে খানিকটা কাজ হলেও সব সমস্যা দূর হয়নি। অন্য দিকে, ধর্মঘটী সাফাই কর্মীদের বক্তব্য, বকেয়া বেতন না পেলে কোনও ভাবেই তাঁরা কাজে ফিরবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy