প্রতীকী ছবি।
দেশে ১০৯টি রুটে ১৫১টি ট্রেন চালানোর প্রশ্নে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে মোট ২৩টি সংস্থা আগ্রহ দেখাল। আবেদনপত্র জমা নেওয়ার (প্রি-অ্যাপ্লিকেশন) আগে আজ আগ্রহী সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল রেল। সেই বৈঠকে বোম্বার্ডিয়ার, অ্যালস্টম-এর মতো বিদেশি সংস্থা যেমন ট্রেন চালাতে আগ্রহ দেখিয়েছে তেমনই বৈঠকে উপস্থিত ছিল বিএইচইএল, আইআরসিটিসি, বিইএমএল, ভারত ফোর্জ, মেধা গ্রুপ, স্টারলাইট, টিটাগড় ওয়াগনের মতো একাধিক দেশি সংস্থা।
প্রথম ধাপে মোট ১০৯টি রুটে ১৫১টি ট্রেন বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে গত ডিসেম্বর মাসে ছাড়পত্র দিয়েছিল নীতি আয়োগ। ওই ট্রেনগুলি চলবে ১২টি ক্লাস্টারে। হাওড়া ক্লাস্টার থেকে যেগুলি চলবে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলি হল, হাওড়া-আনন্দবিহার/দিল্লি (১৬ ঘণ্টা/দৈনিক), চেন্নাই-হাওড়া (২৬ ঘণ্টা/দৈনিক), হাওড়া-বেঙ্গালুরু (৩৩ ঘণ্টা/দৈনিক), হাওড়া-পুণে(২৬.৪৫ ঘণ্টা, সপ্তাহে ২ দিন), শিয়ালদহ-গুয়াহাটি (১৭ ঘণ্টা/সপ্তাহে তিন দিন)। আছে বেশ ক’টি স্বল্প দূরত্বের ট্রেনও। যেমন, হাওড়া-রাঁচী (৭ ঘণ্টা/দৈনিক), পুরী-হাওড়া (৭ ঘণ্টা/ সপ্তাহে তিন দিন) আন্তঃশহর ট্রেন।
পরবর্তী ধাপে কলকাতা ও মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেন পরিষেবা বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। রেল সূত্রে বলা হয়েছে, ট্রেনগুলিতে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে উন্নত মানের পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই কারণে এখন যে আধুনিক কোচগুলি বন্দে ভারত বা তেজস এক্সপ্রেসে চলে, সেই কোচগুলি ওই ট্রেনগুলিতে ব্যবহার করা হবে। রেলের দাবি, ওই কোচগুলির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, সেগুলি ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বিনা ঝাঁকুনিতে ছুটতে সক্ষম। ট্রেনগুলিতে থাকবে অত্যাধুনিক ব্রেকিং ব্যবস্থা। দরজা হবে স্লাইডিং। জানলা দিয়ে আসা রোদ ও যাত্রী নিরপত্তার বিষয়গুলি মাথায় রেখে গ্লেজ়ড সেফটি গ্লাস লাগানো থাকবে। নতুন ওই কামরাগুলিতে ঝাঁকুনি ও আওয়াজ কমানোর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
রেলের বক্তব্য, নতুন কোচে ট্রেনের চাকার আওয়াজ পাওয়া যাবে না বললেই চলে। প্রতিটি কামরার দুই প্রান্তে ডিজ়িটাল বোর্ড থাকবে। যেগুলি যাত্রীকে গন্তব্যস্থল জানিয়ে দেবে। কামরায় থাকবে যাত্রীদের উদ্দেশে ঘোষণার ব্যবস্থাও। হিন্দি, ইংরেজি ছাড়াও আঞ্চলিক ভাষায় ঘোষণা হবে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি কামরার দু’প্রান্তে সিসি-ক্যামেরা বসানো থাকবে। যাতে ইঞ্জিনে বসে চালক সব ক’টি কামরার পরিস্থিতি নজরে রাখতে পারেন। চালক ছাড়াও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দরজা ভিতর থেকে খোলার ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া, বিপদের সময়ে যাত্রীরা যাতে চালকের সঙ্গে কথা বলতে পারেন সেই ব্যবস্থাও থাকছে ট্রেনে।
এই ১৫১টি ট্রেনে ভাড়া নির্ধারণের ক্ষমতা বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। বেসরকারি হাতে যাওয়ায় ট্রেনগুলির যাত্রিভাড়া ওই রুটের অন্য ট্রেনের চেয়ে যে বেশি হবে, সেটা মেনে নিয়েছেন রেল কর্তারা। ট্রেনগুলিতে কোনও ছাড়ের সুবিধাও থাকবে না। ছাড়ের আওতার বাইরে থাকবেন প্রবীণ নাগরিকরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy