ফাইল চিত্র।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) সংঘাতের আবহ।
জেএনইউ কর্তৃপক্ষ গত কাল একটি চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ঘর খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ উড়িয়ে দিয়ে ছাত্র সংসদ জানিয়েছে, কোনও অবস্থাতেই ইউনিয়ন রুম ফাঁকা করা হবে না। আজ বিকেলে নিরাপত্তারক্ষীরা ঘরে তালা দিতে এসেও বাধার মুখে ফিরে যান।
জেএনইউয়ের ডিন অব স্টুডেন্টস অধ্যাপক উমেশ কদম গত কাল এক চিঠিতে জানান, ছাত্র সংসদরে ঘর আজ বিকেল ৫টার মধ্যে খালি করে দিতে হবে। ওই নির্দেশে বলা হয়, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। কারণ, লিংডো কমিশনের রিপোর্ট মানা হয়নি এবং বিষয়টি বিচারাধীন। চলতি শিক্ষাবর্ষের ছাত্র সংসদ নিয়েও আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা হয়নি।
নির্দেশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদের সম্পত্তির অপব্যবহার রুখতে ছাত্র সংসদের ঘরটি তালাবন্ধ করে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময় ছাত্র সংসদ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হলে তালাবন্ধ অবস্থাতেই ঘরটি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আজ বিকেল ৫টার মধ্যে ঘর ফাঁকা করে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো নিরাপত্তারক্ষীরা সেখানে পৌঁছলে পড়ুয়াদের জমায়েতের ফলে তাঁরা ফিরে যান। নবনির্বাচিত ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি সাকেত মুন বলেন, ‘‘৫টা নাগাদ রক্ষীরা এসেছিলেন। আমরা প্রচুর সংখ্যায় জড়ো হয়েছিলাম। ওঁরা কিছু করতে পারেনি। আমরা ঘর ছাড়ব না।’’ ছাত্র সংসদের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘ছাত্র সংসদ সাড়ে আট হাজার পড়ুয়ার। আমাদের জায়গা বন্ধ করার এক্তিয়ার কর্তৃপক্ষের নেই। টেফলাসের অফিসটি ডিন অব স্টুডেন্টসের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। আমাদের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের প্রতীক। ছাত্র সমাজের কাছে আবেদন, এই ফরমানের বিরুদ্ধে সকলে হাত মেলান।’’
এসএফআই, আইসা, এআইএসএফ ও ডিএসএফ— এই চারটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন একজোট হয়ে বর্তমানে জেএনইউ-র ছাত্র সংসদ গঠন করেছে। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আরএসএসের মদতপুষ্ট জেএনইউ কর্তৃপক্ষ হস্টেল, ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের ঘোরাফেরা ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। ইউনিয়ন রুম বন্ধ করতে চাইছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy