সোহরাবুদ্দিন শেখ ভুয়ো সংঘর্ষ মামলার বিচারপতির রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এই প্রথম মুখ খুলল কংগ্রেস। দলের আইনজীবী নেতা কপিল সিব্বল আজ অন্য বিচারপতিদের ‘নীরবতা’ নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন।
অধুনা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন এক ভুয়ো সংঘর্ষে সোহরাবউদ্দিন শেখকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। এই খুনের অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে অমিত শাহকে গ্রেফতারও করা হয়। সেই মামলার বিচারপতি ব্রিজগোপাল হরকিষেণ লোয়ার মৃত্যু নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা সরব হওয়ার পরে গত ক’দিন ধরে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। প্রশান্ত ভূষণ, সীতারাম ইয়েচুরি-সহ অনেকেই এই মৃত্য-রহস্য নিয়ে সরব হলেও এত দিন চুপ ছিল কংগ্রেস। আজ কপিল সিব্বল টুইট করে বলেন, ‘‘বিচারপতি লোয়া হৃদরোগে মারা না-ও যেতে পারেন। বিচারপতিরা নীরব? ভীত? কেন? আমাদের না হলেও অন্তত নিজেদের তো বাঁচান।’’
বিচারপতি লোয়ার মৃত্যু নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আর্জি জানিয়েছেন বম্বে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি এইচ মারলাপাল্লে। দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এ পি শাহও বলেন, ‘‘হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কিংবা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিজে থেকে যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখতে পারেন, তদন্তের প্রয়োজন আছে কি না। এই ঘটনার তদন্ত না হলে বিচারব্যবস্থার উপর তকমা এঁটে যাবে।’’
কপিল সিব্বলের মন্তব্য নিয়ে আজ বিজেপির প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তারা সরকারি ভাবে কিছু বলতে রাজি হয়নি। বিজেপির বক্তব্য, কোনও এক জন নেতার ব্যক্তিগত টুইটের কোনও প্রতিক্রিয়া হয় না। এআইসিসি-র মঞ্চ থেকে কংগ্রেস অভিযোগ করলে বিজেপি জবাব দেবে। এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘আমরা জানি, গুজরাতের ভোট শেষ হলেই কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু করবে। কারণ, গুজরাত ভোটের সময় এই নিয়ে সরব হলে তাদেরই বিপদ বাড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy