ফাইল চিত্র।
বিশেষ মর্যাদা লোপের এক বছরের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন থেকে কার্যত অদৃশ্য কাশ্মীরি আইএএস অফিসারেরা।
জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের তথ্য থেকেই দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নিযুক্ত রয়েছেন ৫৮ জন আইএএস। তার মধ্যে মাত্র সাত জন কাশ্মীরি মুসলিম ছিলেন। ওই সাত জনের মধ্যে শাহ ফয়সল চাকরি ছেড়ে নিজের দল গঠন করেছেন। প্রশাসনিক তথ্য অনুযায়ী, কাশ্মীরি আইএএস অফিসারদের মধ্যে আপাতত গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন এক মাত্র আসগর হাসান সামুন। তিনি এখন স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সচিব। স্বরাষ্ট্র, অর্থ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন উপত্যকার বাইরে থেকে আসা অফিসারেরা।
প্রাক্তন মন্ত্রী ও দিল্লির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নবগঠিত রাজনৈতিক দলের নেতা গুলাম হাসান মিরের মতে, আমলাতন্ত্র, পুলিশ ও বিচার বিভাগে কাশ্মীরিদের প্রতিনিধিত্ব এখন প্রায় নেই। তাঁর কথায়, ‘‘সচিবালয়ে যে সব কাশ্মীরি অফিসারেরা এখন রয়েছেন তাঁরাও নিজেদের কোণঠাসা বলে মনে করেন।’’
তবে প্রাক্তন মন্ত্রী নইম আখতার ও মহম্মদ আশরফ মিরের মতে, ১৯৮৯ সালে জঙ্গি কার্যকলাপ শুরুর সময় থেকেই কাশ্মীরি অফিসারদের কোণঠাসা করা শুরু হয়। দিল্লি সব গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগেই নাক গলায়। এখন বোঝা যাচ্ছে, এ বার মুসলিমপ্রধান কাশ্মীরের প্রকৃতি বদলের চেষ্টা চলছে। রাজনীতিকেরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, জম্মুর ডিভিশনের ডিভিশনাল কমিশনার স্থানীয় বাসিন্দা। কিন্তু কাশ্মীরের ডিভিশনাল কমিশনারই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা পান্ডুরং কোন্ডবারাও পোলে। উপত্যকার চারটি জেলার কমিশনার কাশ্মীরি। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহ পঞ্জাবের বাসিন্দা। আইজি মুকেশ সিংহ ও বিজয় কুমার বিহারের। ১৩টি পুলিশ জেলার মাত্র ২টিতে দায়িত্বে রয়েছেন কাশ্মীরি সুপারেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy