সংসার: মেয়েদের নিয়ে অনুষ্কা। রাঁচীর বিরসা মুন্ডা চিড়িয়াখানায়। নিজস্ব চিত্র
কাগুজে বাঘ নয়। আসল বাঘ। তবে দেখা মিলছে শুধু পর্দায়। রাঁচীর বিরসা মুন্ডা চিড়িয়াখানায় এখন এলইডি পর্দায় দর্শন মিলছে ‘পর্দানসীন’ বাঘেদের!
চিড়িয়াখানায় তো বাঘ খাঁচার ও পারে সরাসরি দেখার কথা! এলইডি পর্দায় কেন? উত্তর খুঁজতেই ভিড় হচ্ছে রাঁচীর এই চিড়িয়াখানায়। খাঁচার সামনে গিয়ে মানুষ দেখছেন বাঘ নেই। এলইডি পর্দায় একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘিনী ও তার তিনটে ছানার ‘লাইভ’ খুনসুটি। চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর সুনীল কুমার গুপ্ত বললেন, ‘‘বাঘিনী অনুষ্কার তিনটে মেয়ে হয়েছে এক মাস আগে। নিরাপত্তার কথা ভেবে এখনই তাদের দর্শকদের সামনে আনা হচ্ছে না।’’
বাঘেদের ব্যক্তিপরিসরে থাবা না বসিয়ে মনোরঞ্জনের এই আয়োজনের প্রশংসাও করছেন অনেকে। রোগ সংক্রমণের ভয়ে বাঘছানাদের প্রথম ক’মাস সামনের খাঁচায় আনা হয় না। মাস কয়েক আগে জামশেদপুর চিড়িয়াখানায় একসঙ্গে তিনটি বাঘের শাবক জন্মেছিল। একটি মেয়ে শাবক সংক্রমণে মারা যায়। মারা যায় হয় একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘও। ‘‘এমন ঘটনা যেন না আর না ঘটে, সে জন্য এখানে আমরা বেশি সতর্ক, ’’ বললেন সুনীল
কিন্তু এলইডি পর্দায় কি মিলছে আসল বাঘ দেখার মজা! পর্দার বাঘছানাদের দেখে উচ্ছ্বসিত ছোটরা। তাতে বড়রাও খুশি। স্কুলপড়ুয়া মুকেশ কুমার মা-বাবার সঙ্গে এসেছিল। বাঘছানা ‘লাইভ’ দেখে দারুন খুশি সে। বাবা অবিনাশ বলেন, ‘‘এত ছোট বাঘের বাচ্চা আগে দেখিনি। পর্দায় দেখেও মন ভরে গেল।’’
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, এই তিনটি শাবকের বাবা মল্লিক। বয়স ৫। মা অনুষ্কার বয়স ৭। অনুষ্কাকে আনা হয়েছিল হায়দরাবাদ চিড়িয়াখানা থেকে। তিন কন্যা নিয়ে এখানে এখন সুখের সংসার মল্লিক-অনুষ্কার। মেয়েদের নামকরণ হয়নি এখনও। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ভাবছেন, দায়িত্ব নিন দর্শকরাই। সে ক্ষেত্রে একটি বাক্স রাখা হতে পারে। তাতেই পছন্দের নাম জমা দেবেন দর্শকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy