ফাইল চিত্র।
দ্রুত গতিতে বেড়ে চলা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে একটানা ৩৩ ঘণ্টার লকডাউন জারি করা হল কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে। শনিবার রাত ৮টা থেকে শুরু হওয়া ওই লকডাউন চলবে সোমবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত। আগেই রাজ্যে ৫ জুলাই থেকে শুরু করে প্রত্যেক রবিবার লকডাউন চালানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল কর্নাটক সরকার। তবে প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, শনিবার রেকর্ড সংক্রমণ সামনে বাধ্য হয়েই আরও কড়া করা হল বিধি।
এ ছাড়াও রাতে এক ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে কার্ফুর সময়সীমা। ফলে এতদিন রাত ৯টা থেকে কার্ফু শুরু হলেও এ বার থেকে তা শুরু হবে রাত ৮টা থেকে। লকডাউন বিধি আরও কড়া করার পাশাপাশি সরকারি অফিসে কমিয়ে আনা হয়েছে কাজের দিনের সংখ্যা। রবিবার ছাড়াও শনিবারও বন্ধ থাকবে সব সরকারি অফিস।
শহরবাসীকে শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে এই লকডাউন মেনে চলার আবেদন জানিয়েছেন বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার ভাস্কর রাও। তাঁর টুইট, ‘‘লকডাউনের সময়ে বাড়িতে থাকুন। কোনও রকমের ছাড়ের জন্য অনুরোধ করবেন না। কারণ এটা সকলের কথা ভেবেই করা হচ্ছে। কোনও কিছু একদিন পিছিয়ে গেলে আকাশ ভেঙে পড়বে না। দয়া করে শৃঙ্খলা মেনে চলুন এবং সহযোগিতা করুন।’’
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্তে রাশিয়াকে ছাপিয়ে ভারত তিনে
শনিবার একদিনে রেকর্ড করোনা সংক্রমণ সামনে এসেছে কর্নাটকে। সংক্রমিত হয়েছেন ১,৮৩৯ জন। এর মধ্যে শুধু বেঙ্গালুরু শহরেই আক্রান্ত ১,১৭২ জন। যার জেরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১,৫৪৯। শনিবার একদিনেই মারা গিয়েছেন ৪২জন। মোট মৃতের সংখ্যা ৩৩৫।
আক্রান্তদের দ্রুত পরিষেবা পাইয়ে দিতে আধিকারিকদের কেন্দ্রীভূত ভাবে শয্যা বণ্টনের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
করোনা রোগীদের জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা বাড়িয়ে ২৫০ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আক্রন্তদের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য আলাদা অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা রাখা হবে।
বিয়েবাড়ির জন্য ভাড়া দেওয়া হয় এমন ভবন এবং অন্যান্য বড় ভবনে কোভিড-১৯ কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলার ব্যবস্থাপনার শুরুর জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। প্রয়োজনে শয্যা-সহ রেল কোচকে কাজে লাগানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি পরিস্থিতির মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মী এবং বিশেষজ্ঞদের ১৫টি দল পাঠানো কর্নাটকে পাঠিয়েছে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy