ছবি: পিটিআই।
প্রথম পর্বের ভোটে ত্রিপুরার শাসক দলের বিরুদ্ধে ‘ছাপ্পা ভোট’-এর অভিযোগ ছিল বিরোধী দলগুলির। আজ তা উল্টে গিয়েছে। বিজেপির এক প্রতিনিধি দল এ দিন বিশেষ পর্যবেক্ষক বিনোদ জুৎসির সঙ্গে দেখা করে বিরোধী সিপিএমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ আনে।
গত ১১ এপ্রিল, প্রথম পর্বের ভোটকে মাথায় রেখে ১৮ এপ্রিলের ভোট পিছিয়ে ২৩ এপ্রিল করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। কড়া নিরাপত্তার মোড়কে আজকের ভোটকে নির্বিঘ্নে করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কমিশন সফল। উল্লেখ্য, প্রথম পর্বের ভোটে কার্যত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছিল। ভোট পর্বের ভিডিও ক্লিপিংস যাচাই করে ইতিমধ্যেই কমিশন বিভিন্ন এলাকার পোলিং এজেন্ট, প্রিসাইডিং অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। তার ভিত্তিতে বেশ কিছু ধরপাকড়ও হয়েছে।
এ দিন সন্ধ্যায় মুখ্য নির্বাচনী অফিসার শ্রীরাম তরণীকান্ত জানিয়েছেন, বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ৮০.৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিছু ভোট কেন্দ্রে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট খারাপ হয়ে যাওয়ায় ভোট গ্রহণ থমকে যায়। পরে তা পাল্টে ফের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ফলে সেই বুথগুলিতে রাত পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।
এ দিনের ভোটের পর নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘কমিশন কঠোর মনোভাব নেওয়ায় প্রশাসনের একাংশ যে বিজেপি-প্রীতি ছেড়ে জেগে উঠেছে, তার জন্যে কমিশনকে ধন্যবাদ।’’ সিপিএম রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশও এদিন কমিশনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সকালে কয়েকটি জায়গায় সিপিএমের পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়। ভোটারদের ভয় দেখিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে।’’ তিনি জানান, বিষয়টি নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের নজরে আনার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফেও নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক ভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। তবে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা তাঁরা কমিশনের নজরে আনেন বলে দাবি করেন কংগ্রেস মুখপাত্র তাপস দে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিকে, বিজেপি মুখপাত্র অশোক সিনহা বলেন, ‘‘বিজেপিরকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। গত ১১ তারিখ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা সকলেই সমান দোষী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy