ছবি: পিটিআই।
শেষ দফার ভোটের আগেই নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করে দিলেন, ফের দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনিই! দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে লোকসভায় যা আসন প্রয়োজন, ৬দফার ভোটেই তা হাসিল হয়ে গিয়েছে বলে মোদীর দাবি। বাংলায় 'উন্মাদনা' দেখে বিদায়ী এবং 'ভাবী' প্রধানমন্ত্রীর আরও দাবি, বিজেপি একাই গোটা দেশে তিনশোর বেশি আসন পাবে!
এ বারের লোকসভা ভোটে বাংলার দিকে বিশেষ নজর দিয়েই ঝাঁপিয়েছেন মোদী-অমিত শাহেরা। সপ্তম ও শেষ পর্বের ভোটের আগে বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সায়ান্তন বসুর সমর্থনে টাকীতে প্রচারে এসে মোদী বলেছেন, ‘‘পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফার নির্বাচন থেকেই বিজেপি সরকার গড়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গিয়েছে। বাংলায় প্রতি বার এসে আরও বেশি বেশি মানুষের সমর্থন, উৎসাহ দেখছি। আপনাদের এক একটা ভোট সরাসরি মোদীর খাতায় যাবে। এখানে এসে মনে হচ্ছে, বিজেপি একাই তিনশো আসন ছড়িয়ে যাবে! শরিকদের নিয়ে এনডিএ তা হলে আরও বেশি হবে।’’ এর আগে বাংলায় এসে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী দাবি করে গিয়েছিলেন, মোদীর আর প্রধানমন্ত্রী হওয়া হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রোজই বলছেন, মোদীর বিদায় নিশ্চিত। মোদী এ বার উল্টো হিসেব পেশ করলেন। টাকীর পরে ডায়মন্ড হারবারে ও একই দাবি শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে।
প্রধানমন্ত্রীর এমন দাবির কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা অবশ্য পাল্টা কটাক্ষ করেছেন, ‘‘গরু হারালে পাগল হয়! সেই রোগ। হারাতঙ্ক!’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘একশোটা পাবে তো?’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দিল্লির সরকারে ফেরার কথা বলতে গিয়েই তৃণমূল নেত্রীকে বুধবার কটাক্ষ করেছেন মোদী। বলেছেন, ‘‘২৩মে ফল বেরোবে। ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি শপথ নেওয়ার পরে দিদি আমার বাড়িতে আসুন। আপনি তো শিল্পী, চিত্রকর। আপনার ছবি সারদার নামে অনেক টাকায় বিক্রি হতো শুনেছি। আমার একটা জঘন্য, বিশ্রী ছবিই এঁকে নিয়ে আসুন! আমি সেই ছবি সাদরে সারা জীবন রেখে দেব। কথা দিচ্ছি, এফআইআর করব না!’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিকৃত ছবি তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়ে জেলে যেতে হয়েছে হাওড়ার এক যুব বিজেপি নেত্রীকে। প্রধানমন্ত্রীর তির ছিল সেই প্রসঙ্গেই। তাঁর মন্তব্য, ‘‘এই অহঙ্কার দিদির আগে থেকেই ছিল। টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে একটি মেয়ের প্রশ্ন পছন্দ হয়নি বলে মাইক্রোফোন ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যা নয় তাই বলে দিয়েছিলেন! এখন কার্টুন করেছে বলে একটি মেয়েকে গ্রেফতার করালেন। আপনি বাঁচাবেন গণতন্ত্র?’’
টাকী এরিয়ান ক্লাবের মাঠে এ দিন ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। প্রধানমন্ত্রীর আসতে দেরি হওয়া স্বত্ত্বেও মাঠে এবং রাস্তায় অপেক্ষায় ছিলেন মানুষ। বিজেপি র সরকারে ফেরার ‘নিশ্চয়তা’র পাশাপাশিই মোদী দাবি করেছেন, হেরে যাওয়ার আতঙ্কে তৃণমূল হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ পরিবর্তন করার জন্য যাঁকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিল, এখন তাঁর হাত থেকেই পরিত্রাণ চাইছে! ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিদি ধমক দিচ্ছেন, ভয় দেখাচ্ছেন। মোদীকে ভয় দেখিয়ে কিছু হবে না। দিদির এখন এমন অবস্থা, নিজের ছায়াকেও ওঁর ভয় হয়!’’ বিজেপি রাজ্য নেতাদের সঙ্গেই কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এসেছিলেন বসিরহাটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy