নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ রাজীব কুমারকে নোটিস পাঠাল নির্বাচন কমিশন।—ফাইল চিত্র।
রাহুল গাঁধীর ‘ন্যূনতম আয় যোজনা’ প্রকল্পের সমালোচনা করার জন্য বুধবার নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ রাজীব কুমারকে নোটিস পাঠাল নির্বাচন কমিশন।
সোমবার কংগ্রেস সভাপতির ঘোষণা করা এই প্রকল্পের সমালোচনা করে একাধিক টুইট করেছেন রাজীব। কমিশনের মতে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে বসে বিরোধী দলের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির সমালোচনা করার অর্থ সরকারকে সমর্থন করা। এই কাজ করে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন রাজীব। তাই তাঁর জবাব তলব করা হয়েছে। দু’দিনের মধ্যে রাজীবকে এর জবাব দিতে হবে। রাহুল কথা দিয়েছেন, ‘ন্যায়’ বা ‘ন্যূনতম আয় যোজনা’ অনুযায়ী দেশের সব গরিব পরিবারকে মাসে ৬ হাজার টাকা, অর্থাৎ বছরে ৭২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। টাকা সোজা পৌঁছে যাবে ব্যাঙ্কে। এর পরেই বিজেপির পাশাপাশি রাহুলের সমালোচনায় নেমে পড়েন রাজীবও। সোমবার তিনি টুইট করেন, ‘‘নির্বাচনে জেতার জন্য কংগ্রেস ‘‘১৯৭১ সালে গরিবি হটাও, ২০০৮ সালে ওআরওপি, ২০১৩ সালে খাদ্য নিরাপত্তার ডাক দিয়েছিল। কিন্তু এর একটি প্রতিশ্রুতিও পূরণ করা হয়নি। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ন্যূনতম আয় যোজনা প্রকল্পের প্রতিশ্রুতিরও একই পরিণতি হবে।’’ আর একটি টুইটে রাজীব লেখেন, ‘‘ন্যূনতম আয় যোজনা-র খরচ জোগাতে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি)-র ২% এবং মোট বাজেটের ১৩% লেগে যাবে।’’ সোমবারই একটি সাক্ষাৎকারে রাজীব বলেছিলেন, ‘‘এই প্রকল্পের ফলে রাজকোষ ঘাটতি ৩.৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশে পৌঁছে যাবে।’’ এই সব মন্তব্যের পরেই নড়েচড়ে বসে কমিশন। শো-কজ করা হয় রাজীবকে।
এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির জন্য রাহুলের সমালোচনা করেছে বিজেপিও। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির দাবি, এই ঘোষণা আসলে একটি ধাপ্পা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy